দাদার সামনেই ভাইকে অপহরণের চেষ্টা করেছিল জনা আটেক দুষ্কৃতী। ভাইকে বাঁচাতে গেলে তাদের বন্দুকের আঘাতে কপাল ফেটে যায় বড় ভাইয়ের। এর পরেই দুই ভাই এক দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। বাকিরা পালায়। তবে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রাতেই আরও এক দুষ্কৃতী গ্রেফতার হয়। সোমবার রাতে খিদিরপুরের আশুবাবু লেনের ঘটনা। ধৃতদের নাম রবি কুনাল ও পিন্টু মাহাতো। রবি বিহারের হাজিপুরের ও পিন্টু খিদিরপুরের মুন্সিগঞ্জের বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে দু’টি ছুরি, নাইলনের দড়ি ও লিউকোপ্লাস্ট মেলে। মঙ্গলবার ধৃতদের আদালতে তোলে পুলিশ।
ওই দুই ভাই সঞ্জয় ও অভিষেক এলাকারই বাসিন্দা চায়ের ব্যবসায়ী বিনোদকুমার রায়ের ছেলে। অভিষেক গাজিয়াবাদের এক সংস্থায় এমবিএ পড়ে। পরিবার সূত্রে খবর, রাতে অভিষেকের নাম ধরে কয়েক জন ডাকাডাকি করে। অভিযোগ, অভিষেক দরজা খুলে বেরোলে অপরিচিত দুই ব্যক্তি তাঁকে ধরে ফেলে। এক জন তাঁর মাথায় বন্দুক, এক জন গলায় ছুরি ধরে। সঞ্জয় বাধা দিলে তাঁর কপালে বন্দুকের বাট দিয়ে মারে দুষ্কৃতীরা। এর পরে অভিষেকই দুষ্কৃতীদের মারধর করে এক জনকে ধরে পুলিশে দেন। পরে ধরা পরে আর এক দুষ্কৃতী। বিনোদবাবুর অভিযোগ, অভিষেককে অপহরণ করতে আসে দুষ্কৃতীরা।
সঞ্জয় ও অভিষেক জানান, দুষ্কৃতীরা জানায় তারা বিহারের বাসিন্দা, এসেছে চা কিনতে। দরজার সামনে ছাড়া বাড়ির ভিতরে চার জন ও রাস্তার মোড়ে দু’জন ছিল। পুলিশ জেনেছে, দুষ্কৃতীরা সম্ভবত বিহারের বৈশালির বাসিন্দা। সঞ্জয় ও অভিষেকরাও এক সময়ে সেখানে থাকতেন। ধৃত রবির বাবা এক উচ্চপদস্থ ব্যাঙ্ক কর্মী। অভিষেক বলেন, “পিন্টু এক সময়ে আমাদের দোকানে কাজ করত।” বিনোদবাবু বলেন, “পিন্টুর এক প্রতিবন্ধী ভাই ও মা-ও কিছু দিন কাজ করে।”
অপহরণের অভিযোগ উঠলেও অপহরণের ক্ষেত্রে যেমন গাড়ি আনা হয়, এখানে তা হয়নি। গোয়েন্দাদের অনুমান, খুন বা ডাকাতির উদ্দেশ্যও থাকতে পারে। কাজ হাসিলের জন্য কিছু দিন আগে তারা ভিন্ রাজ্য থেকে আসে বলেও মনে করছে পুলিশ। ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরেই ঘটনা কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ দিন গোয়েন্দা প্রধান পল্লবকান্তি ঘোষ বলেন, “দুষ্কৃতীদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার নয়। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy