পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র বারবার বলা সত্ত্বেও অটোর দৌরাত্ম্য যে আদৌ কমেনি, সোমবার এক মহিলা অটোযাত্রীর গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা ফের তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।
মন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশের পরে নিউ টাউন ও সল্টলেক এলাকায় অটো-রাজ রুখতে পুলিশি তৎপরতা শুরু হয়েছিল। কিন্তু সোমবার অটো করে অ্যাকোয়াটিকা যাওয়ার পথে উল্টো দিক থেকে সা এক অটোর ধাক্কায় গুরুতর জখম হলেন এক মহিলা। তাঁর নাম ঝুমকি মিত্র। বাড়ি দমদমের বেদিয়াপাড়ায়। চিকিৎসকেরা জানান, ওই মহিলার বাঁ হাতের হাড় তিন জায়গায় ভেঙে গিয়েছে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি।
ঝুমকির পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক জন আত্মীয়ের সঙ্গে কেষ্টপুর থেকে অ্যাকোয়াটিকা যাচ্ছিলেন ঝুমকিদেবী। তিনি বসেছিলেন অটোর পিছনে বাঁ দিকে। অ্যাকোয়াটিকা আসার আগের মোড়ে উল্টো দিক থেকে আসা একটি অটো লেন ভেঙে ঝুমকিদেবীদের অটোর রাস্তায় ঢুকে পড়ে। জখম মহিলার পাশে ছিলেন তাঁর এক আত্মীয় টুটু সরকার। তাঁর কথায়, “হঠাৎ দেখি, প্রচণ্ড গতিতে একটি অটো লেন ভেঙে আমাদের অটোর কাছে চলে আসছে। আমাদের অটোচালক বাঁচানোর চেষ্টা করলেও পারেননি। সজোরে ধাক্কা মারে অন্য অটোটি। আমরা ছিটকে পড়ি।” টুটুবাবু জানান, অন্য অটোটির একটা অংশ ঝুমকিদেবীর বাঁ হাতে এসে লাগে। প্রচুর রক্তপাত হয়ে বাঁ হাতের কিছুটা মাংস ঝুলে পড়ে। ওই অটো করেই ঝুমকিদেবীকে প্রথমে সল্টলেক মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পরে সেখান থেকে তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়।
ঝুমকিদেবীর পরিবার অবশ্য এখনও থানায় অভিযোগ দায়ের করেননি। টুটুবাবু বলেন, “আগে মানুষটাকে বাঁচাতে হবে। তার পরে তো অভিযোগ করব!” যে এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেটি কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার অন্তর্ভুক্ত হলেও দুর্ঘটনার জায়গা থেকে নিউ টাউন থানা খুব কাছে। কিন্তু নিউ টাউন থানার অফিসারেরা দায়িত্ব নিতে চাননি। লেদার কমপ্লেক্স থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। কেউ গ্রেফতারও হয়নি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই রাস্তায় বেপরোয়া ভাবে অটো চালানো নতুন কিছু নয়। এ নিয়ে বারবার পুলিশকে জানিয়েও কোনও লাভ হয় নি। স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে পুলিশি টহলদারি প্রায় থাকে না বললেই চলে। নিউ টাউন থানা কাছে হলেও ওই এলাকা যেহেতু তার অধীনে নয়, তাই সেখানকার পুলিশ ওই এলাকায় আসে না। আবার কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা অনেক দূরে বলে ওই থানার পুলিশকেও খুব কমই দেখা যায়। তারই সুযোগ নেন অটোচালকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy