Advertisement
E-Paper

নিয়োগ ‘দুর্নীতি’: ইডির পর সিবিআইয়ের মামলাতেও কুন্তল ঘোষের জামিন! তবে শর্ত বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট

গত ২০ নভেম্বর যুব তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা কুন্তলকে ইডির মামলায় জামিন দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। এ বার সুপ্রিম কোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করল সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায়।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ১১:৩৬
কুন্তল ঘোষ।

কুন্তল ঘোষ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

ইডির পর এ বার সিবিআইয়ের মামলাতেও জামিন পেলেন নিয়োগ মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ। কলকাতা হাই কোর্টের পরে সুপ্রিম কোর্টে।

নিয়োগ সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের মামলায় ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি কুন্তলকে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। চাকরিপ্রার্থীদের থেকে চাকরির প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে টাকা তোলার অভিযোগের পাশাপাশি, হিসাব-বহির্ভূত বিপুল অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও ছিল কুন্তলের বিরুদ্ধে। এর পর নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় কুন্তলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। প্রায় ২৩ মাস ধরে জেলে রয়েছেন তিনি।

এর আগে গত ২০ নভেম্বর যুব তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা কুন্তলকে ইডির মামলায় জামিন দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। এ বার সুপ্রিম কোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করল সিবিআই মামলায়। গত অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি সিটি রবি কুমার এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঞার বেঞ্চ সিবিআই মামলায় জামিনের আবেদনের শুনানিতে জানিয়েছিল, কুন্তলকে হাই কোর্টে আবেদন করতে হবে। তবে শেষ পর্যন্ত মঞ্জুর হল তাঁর আবেদন। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, তদন্তকারী সংস্থার অনুমতি ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের বাইরে যেতে পারবেন না। মামলা বিচারাধীন থাকাকালীন কোনও সরকারি পদ নিতে পারবেন না।

এই মামলায় কলকাতা হাই কোর্টকে সিবিআই জানিয়েছিল, কুন্তল চাকরি দেওয়ার নামে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে প্রায় চার কোটি টাকা তুলেছেন। ভুয়ো ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছিল সরকারি অফিসে। প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলের কসবার অফিসে ভুয়ো ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছিল বলে জানায় সিবিআই। কারা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন, তা স্পষ্ট নয়। নীলাদ্রিও এই নিয়োগের এজেন্ট ছিলেন বলে আদালতে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন তাপস মণ্ডলও। অন্য দিকে, ইডির দাবি ৩২৫ জন শিক্ষক-পদপ্রার্থীর কাছ থেকে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছেন কুন্তল। তাঁর কাছে সব মিলিয়ে ১৯ কোটি টাকারও বেশি পৌঁছেছিল বলেও আদালতকে জানায় ইডি।

সিবিআইয়ের রিপোর্টে দাবি, টেটে ফেল করা প্রার্থীদের যোগ্য প্রমাণ করতে ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করেছিলেন কুন্তলেরা। অবিকল আসল ওয়েবসাইটের মতো দেখতে ছিল সেই ভুয়ো ওয়েবসাইট। এমনকি, দুর্নীতি যাতে নজর এড়িয়ে যায়, সে জন্য ভুয়ো ইমেল আইডি থেকে অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের মেল পাঠিয়ে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডেকে পাঠানো হত। কোনও নিয়মের তোয়াক্কা না করেই ওএমআর শিট মূল্যায়নের দায়িত্ব ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি’কে দেওয়া হয়েছিল বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করেছে সিবিআই।

এর আগে সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইকে কুন্তলের মামলার ‘স্টেটাস’ জিজ্ঞাসা করেছিল। কত দিন কুন্তলকে জেলে থাকতে হবে, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে। কুন্তলদের জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে সিবিআইয়ের যুক্তি ছিল, মামলার তদন্ত চলছে। এর মাঝে তাঁরা ছাড়া পেলে এই সংক্রান্ত প্রমাণ নষ্ট হতে পারে। এই দুর্নীতিতে সেতু হিসাবে কাজ করেছেন কুন্তল এবং অন্য এক অভিযুক্ত নীলাদ্রি ঘোষ। তবে গত মে মাসে নীলাদ্রিকে কলকাতা হাই কোর্ট জামিন দিলেও খারিজ করেছিল কুন্তলের আবেদন। এর পর জামিন চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি।

Kuntal Ghosh Supreme Court West Bengal Recruitment Case
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy