Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

উত্তরের মডেলে পূর্বে বাধা হচ্ছে সংগঠনই

উত্তরপ্রদেশ বিজয়কে সামনে রেখে অন্য রাজ্যেও নির্বাচনী সাফল্য পেতে পুস্তিকা তৈরি করছে বিজেপি। দলীয় সূত্রের খবর, কোন পথে উত্তরপ্রদেশে বিপুল জনরায় মিলেছে, সেই সূত্রই লেখা হবে ওই পুস্তিকায়।

বিরোধিতা: আরএসএস-কে নিশানায় রেখে বিক্ষোভে যাদবপুরের পড়ুয়ারা। রবিবার অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসের সামনে। ছবি: সুমন বল্লভ

বিরোধিতা: আরএসএস-কে নিশানায় রেখে বিক্ষোভে যাদবপুরের পড়ুয়ারা। রবিবার অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসের সামনে। ছবি: সুমন বল্লভ

রোশনী মুখোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৭ ০৪:০৫
Share: Save:

উত্তরপ্রদেশ বিজয়কে সামনে রেখে অন্য রাজ্যেও নির্বাচনী সাফল্য পেতে পুস্তিকা তৈরি করছে বিজেপি। দলীয় সূত্রের খবর, কোন পথে উত্তরপ্রদেশে বিপুল জনরায় মিলেছে, সেই সূত্রই লেখা হবে ওই পুস্তিকায়। এর পরেই যে দুই রাজ্যের বিধানসভা ভোট বিজেপি-র কাছে ‘পাখির চোখ’, সেই গুজরাত এবং হিমাচল প্রদেশে ওই কৌশল হাতে-কলমে প্রয়োগ করা হবে। তার পরে নিশানায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এ রাজ্যে ২০১৯-এর লোকসভা এবং ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের জমি তৈরি করা হবে ওই সূত্র মেনেই।

বিজেপি সূত্রের খবর, ওই পুস্তিকায় বলা থাকবে, উত্তরপ্রদেশে দল মূলত তিনটি রণকৌশল ব্যবহার করেছে। এক, বিরাট ও শক্তিশালী বুথ-রক্ষী বাহিনী গড়া, কেন্দ্রীয় সরকারের জনস্বার্থবাহী প্রকল্পগুলি সাধারণ মানুষের কাছে প্রচার করা এবং ভোটারদের সম্পর্কে তথ্য নেটবন্দি করা। দলীয় সূত্র বলছে, উত্তরপ্রদেশে ১১ লক্ষ ৫২ হাজার কর্মী ১ লক্ষ ৪৭ হাজার বুথের দায়িত্ব সামলেছেন। দলের একটি কল সেন্টার ওই বুথকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে। জনধন যোজনা, উজ্জ্বলা গ্যাস যোজনা, স্বচ্ছ ভারত প্রভৃতি কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের সুফল কী ভাবে আমজনতা পেতে পারেন, তা নিয়মিত বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করেছেন কর্মীরাই। পাশাপাশি, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার ভোটেই বিজেপি প্রথম বার সব ভোটারের ধর্ম-জাত-লিঙ্গ পরিচয়-আর্থিক অবস্থা সমেত তথ্যপঞ্জি তৈরি করেছে। তাতে কোন এলাকায় কী কৌশলে দল এগোবে, তা ঠিক করতে সুবিধা হয়েছে।

বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশ মডেল প্রকাশিত হলে নিশ্চয়ই তা এখানকার ভোটেও কাজে লাগাব। তবে প্রত্যেক রাজ্যের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে। উত্তরপ্রদেশ মডেল প্রয়োগ করতে হবে এ রাজ্যের মতো করে।’’ ইতিমধ্যেই ‘এ বার লক্ষ্য বাংলা’— এই হোর্ডিং শহরে দিয়েছে বিজেপি।

তবে দলেরই একাংশের বক্তব্য, উত্তরপ্রদেশে সাফল্যের চাবিকাঠিই ছিল মজবুত সংগঠন। পশ্চিমবঙ্গে যা এখনও অদৃশ্য। দিলীপবাবুও মানছেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশের মতো এখানে বুথকর্মী পাওয়া সহজ নয়। কারণ, এখানে তাঁদের শাসক দলের হাতে আক্রান্ত হতে হয়।’’ দলে সঙ্ঘের রাশ জোরালো হওয়ায় অনেক কর্মীই ক্ষোভে বসে যাচ্ছেন, নয়তো বিভিন্ন নামে নানা সংগঠন তৈরি করছেন। এঁদের সকলকে এক ছাতায় আনতে ‘ভারতীয় জনতা পরিষদ’ নামে মঞ্চ গড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দুর্বল সংগঠন এবং এই অনৈক্যই চিন্তায় রাখছে বিজেপি-কে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP Uttar Pradesh Vote West Bengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE