Advertisement
E-Paper

বেআইনি কল সেন্টারের চাঁই দুই অভিযুক্তের সন্ধান পেতে জারি লুক আউট সার্কুলার

প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের ধারণা, দুই অভিযুক্ত মধ্যপ্রাচ্যের কোনও দেশে গা-ঢাকা দিয়েছে। তবে, তারা এই দেশে থাকলেও যাতে কোথাও যেতে না পারে, তার জন্য ওই এলওসি জারি করা হয়েছে।

লালবাজার।

লালবাজার। —ফাইল চিত্র।

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৫ ০৯:১৫
Share
Save

গার্ডেনরিচের পাহাড়পুরে বেআইনি কল সেন্টারে অভিযান চালিয়ে প্রায় এক কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। এ বার ওই মামলায় অভিযুক্ত দুই পলাতকের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার (এলওসি) জারি করল লালবাজার। দুই অভিযুক্তের মধ্যে এক জনের নাম রয়েছে পুলিশের দায়ের করা এফআইআরে। অন্য অভিযুক্ত ওই কল সেন্টারের মালিক বলে পুলিশ জানিয়েছে।

প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের ধারণা, দুই অভিযুক্ত মধ্যপ্রাচ্যের কোনও দেশে গা-ঢাকা দিয়েছে। তবে, তারা এই দেশে থাকলেও যাতে কোথাও যেতে না পারে, তার জন্য ওই এলওসি জারি করা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, এর ফলে দেশের ভিতরে বা বাইরে কোথাও যাতায়াত করলে অভিযুক্তদের সন্ধান পাওয়া সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে গার্ডেনরিচের আয়রন গেট রোডে একটি আবাসনের দ্বিতীয় এবং ষষ্ঠতলায় ওই বেআইনি কল সেন্টারে হানা দিয়েছিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল। সেখান থেকে নগদ ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি উদ্ধার হয় কয়েক লক্ষ টাকার সোনা ও হিরের গয়না। ওই কল সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করা হলেও চক্রের দুই মাথা ঘটনার পর থেকেই পলাতক।

লালবাজারের এক কর্তা জানান, কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা কল সেন্টারের বিরুদ্ধে কঠোরতম অবস্থান (জ়িরো টলারেন্স) নিয়েছে পুলিশ। তারই অঙ্গ হিসাবে বিভিন্ন বেআইনি কল সেন্টারে হানা দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে এ বার সংশ্লিষ্ট কল সেন্টারগুলির পলাতক মালিকদের বিরুদ্ধেও কড়া অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারই প্রথম ধাপ এই লুক আউট সার্কুলার।

গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, গার্ডেনরিচের কল সেন্টারটি থেকে মূলত কানাডা ও আমেরিকার নাগরিকদের প্রতারণা করা হত। নিজেদের বহুজাতিক কম্পিউটার সংস্থার প্রতিনিধি বলে পরিচয় দিয়ে ওই নাগরিকদের প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিত জালিয়াতেরা। এর পরে কলকাতার অফিসে বসেই কম্পিউটারের দখল নিয়ে নিত তারা। এই পন্থায় বিদেশি নাগরিকদের অ্যাকাউন্ট থেকে হাতানো হত কোটি কোটি টাকা। সেই টাকা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে পাচার করা হত। যা দুবাই হয়ে প্রথমে দিল্লি, পরে হাওয়ালার মাধ্যমে কলকাতায় বসে থাকা প্রতারকদের কাছে আসত।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Look Out Circular Lalbazar

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}