পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন সম্ভাবনার ডালি এ বার সাইবার দুনিয়ায় সাজিয়ে দিল একটি বণিক সংস্থা। বেড়ানোর জরুরি তথ্য ও আকর্ষক ছবি সম্বলিত একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছে তারা। কেরল, রাজস্থানের চেয়েও বেশি সংখ্যক বিদেশি পর্যটক এখন ভিড় করছেন পশ্চিমবঙ্গে। রাজ্যের নিজের দাবি নয়, কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের তথ্যই এ কথা বলছে।
রাজ্য সরকার তো বটেই, দেশে ও বিদেশে কাজ করা ট্যুর অপারেটরদের একাংশও মনে করেন, এই সাফল্যের কারণ রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্র নিয়ে সাম্প্রতিক কালের লাগাতার প্রচার। কলকাতার ঐতিহ্য, দার্জিলিংয়ের পাহাড় ও রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতনের বাইরেও যে বহু দ্রষ্টব্য জায়গা আছে, সেটা রাজ্যবাসীর একাংশই জানতেন না। গত কয়েক বছর ধরে তথ্যের অভাব কাটিয়ে ওঠা যাচ্ছে বলে তাঁদের অভিমত।
এই উদ্যোগেই নতুন সংযোজন বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিআই)-র তৈরি www.bengalweekend.com, শুক্রবার যার উদ্বোধন করেছেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। তাঁর কথায়, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য অভাবনীয়। ওয়েবসাইটটি পর্যটকদের কাজে আসবে, ভ্রমণপিপাসুরা বহু তথ্য পাবেন।’’ মন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘পর্যটন দফতরের নিজস্ব ওয়েবসাইট আছে। আবার বিসিসিআই নিজের উদ্যোগে ওয়েবসাইটটি তৈরি করেছে। সরকারি ও বেসরকারি, দু’রকম উদ্যোগ সমান্তরাল ভাবে চললে রাজ্যের পর্যটন শিল্পে আরও গতি আসবে।’’
রাজ্যের ২০টি জেলার ৪৪টি জায়গাকে বেছে নেওয়া হয়েছে ওয়েবসাইটে। নাম, নানা রকম ছবি, থাকার ব্যবস্থা, খরচ, সেখানকার বিখ্যাত খাবার, পৌঁছনোর উপায়— এই সব তথ্যে ঠাসা ওই ওয়েবসাইট। বিসিসিআইয়ের বক্তব্য, নামকরণে যেহেতু সপ্তাহান্তের বেড়ানোর কথা বলা আছে, তাই রাজ্যের কোনও গুরুত্বপূর্ণ শহর থেকে দু’-আড়াই ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছনো যাবে, এমন সব বেড়ানোর জায়গাকেই রাখা হয়েছে।
বিসিসিআইয়ের সভাপতি সুতানু ঘোষের কথায়, ‘‘অল্প পরিচিত ও পর্যটকের পা খুব বেশি পড়েনি, এমন সব জায়গাকেই অগ্রাধিকার দিয়েছি।’’ তবে অনেকের প্রশ্ন, কলকাতার কাছেপিঠের বহু আকর্ষক অথচ অল্প পরিচিত সপ্তাহান্তিক ভ্রমণের জায়গা বাদ পড়েছে। ঠাঁই পেয়েছে রায়চকের মতো বহুল পরিচিত জায়গা। এটা কেন? বণিকসভার পর্যটন বিষয়ক কমিটির প্রধান অনিল পাঞ্জাবি বলেন, ‘‘এই শুরু। সাইটটি এখন প্রতিনিয়ত আপডেট হতে থাকবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy