বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বৃহস্পতিবারই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, জেলা স্তরের সংগঠনে রদবদল করে ‘হিম্মতওয়ালা’দের নিয়ে আসা হবে। সেই মতো শুক্রবার দলের সাতটি জেলার নতুন সভাপতির তালিকা প্রকাশ করা হল। তৈরি করা হল একটি নতুন সাংগঠনিক জেলা আরামবাগ।
কিন্তু তার পরেই দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে, ‘কাজের লোক’ বলে যাঁদের জেলা সভাপতি করা হল, তাঁরা আদৌ ‘কাজের লোক’ নাকি সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ নেতার ‘কাছের লোক’? কোচবিহার, শিলিগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, শ্রীরামপুর, আরামবাগ, বসিরহাট এবং কাঁথি জেলার নতুন সভাপতি হয়েছেন যথাক্রমে মালতী রাভা, অভিজিৎ রায়চৌধুরী, শঙ্কর চক্রবর্তী, সঞ্জিত মিশ্র, সুমন ঘোষ, বিমান ঘোষ, গণেশ ঘোষ ও তপন মাইতি। দিলীপবাবু আগে বলেন, ‘‘বিজেপি এখন দ্রুত গতিতে বাড়ছে। অতএব, দক্ষ, সকলকে নিয়ে চলতে সক্ষম, লড়াকু এবং যুবক কর্মীদেরই এখন নেতৃত্বে তুলে আনা হচ্ছে।’’ তিনি জানান, পঞ্চায়েত ভোটে যাঁরা ‘হিম্মৎ’ দেখাতে পারেননি এবং যাঁদের বিরুদ্ধে বিরোধী শক্তির সঙ্গে হাত মেলানোর অভিযোগ আছে, তাঁদের সরানো হবে।
এ দিন বদলের পরে দলের একাংশে অভিযোগ, নয়া সভাপতিদের সম্পর্কেও একই প্রশ্ন তোলার অবকাশ আছে। দলীয় সূত্রের খবর, কারও কারও বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আছে। জেলা সভাপতি বদলে মালদহ, উত্তর দিনাজপুর ও বসিরহাটে কর্মী-অসন্তোষ তৈরি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। তবে দিলীপবাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘সকলের সকলকে পছন্দ হয় না। ব্যক্তি দেখে সংগঠন করলে মুশকিল।’’