রাজ্যে শান্তি ও সংহতির পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে কলকাতায় ১২ জুলাই মহামিছিলের ডাক দিল বামেরা। বসিরহাটে সাম্প্রতিক ঘটনার প্রেক্ষিতে রবিবার বামফ্রন্টের শরিক ও তার বাইরের দল মিলে মোট ১৯টি বাম দল বৈঠকে বসে মহামিছিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর কথায়, ‘‘শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রখার স্বার্থে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন সব মানুষকে মহামিছিলে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
মহজাতি সদনের সামনে বুধবার দুপুরে জমায়েত করবে বামেরা। তার পরে মিছিল যাবে ধর্মতলার সুরেন্দ্রনাথ পার্ক পর্যন্ত। সে দিনই শহিদ মিনার ময়দানে সমাবেশ রয়েছে কংগ্রেসের। ফলে, মিছিল-সমাবেশ ঘিরে মধ্য কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা সে দিন থমকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে। বিমানবাবু জানিয়েছেন, জেলায় জেলায় পথসভা, শান্তি মিছিল চলছে। পাশাপাশিই কলকাতায় হবে মহামিছিল।
বিজেপি রাজ্যের শান্তির পরিবেশ নষ্ট করতে চাইছে বলে অভিযোগ করে জেলায় জেলায় পথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূলও। এ বার ২১ জুলাইয়ের প্রচার-মঞ্চকেও বিজেপি-র বিরুদ্ধে সরব হওয়ার কাজে লাগাতে নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘বিজেপি এবং তার বিভিন্ন শাখা সংগঠন যে ভাবে রাজ্য জুড়ে বিক্ষিপ্ত ভাবে উস্কানি দিয়ে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে, তার প্রতিবাদে আমাদের সর্বস্তরের নেতারা এ বার পথে নামা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’ শাসক দলের সব শাখা সংগঠনকেই এই মর্মে কর্মসূচি নিতে বলা হয়েছে।
বসিরহাটের ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত করার সরকারি নির্দেশকে স্বাগতই জানিয়েছেন বিমানবাবু। তবে তাঁর বক্তব্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা বালককে গ্রেফতার করে অন্যত্র সরিয়ে আনলে উত্তেজনা কমত। প্রশাসন গোড়ার দিকে ব্যবস্থা নিতে পারেনি বলেই অভিযোগ তাঁর। বিমানবাবু মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘যুক্তফ্রন্ট আমলে তেলিনিপাড়ায় এক বার গোলমালের সময়ে পুলিশমন্ত্রী জ্যোতি বসু বিবৃতি দিয়েছিলেন, দুষ্কৃতীদের দেখামাত্র গুলি করা হবে। ওরা পালিয়েছিল। সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা যারা ছ়ড়াবে, তাদের ক্ষমা-দয়া প্রাপ্য নয়!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy