বাৎসরিক উপলক্ষ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা। প্রতি বছর ১ সেপ্টেম্বরের মতো এ বারও কলকাতার পথে নেমেই সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতায় ধ্বজা তুলে রাখার চেষ্টা করল বামেরা। তবে এ বার ওই উপলক্ষকে ব্যবহার করেই নিশানা করা হল বিজেপি এবং তাদের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে।
মৌলালির রামলীলা ময়দান থেকে ফড়েপুকুরের দেশবন্ধু পার্ক পর্যন্ত শুক্রবারের মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিম, নরেন চট্টোপাধ্যায়, প্রবোধ পণ্ডা, মনোজ ভট্টাচার্য, সমীর পূততুণ্ড, অমিতাভ চট্টোপাধ্যায়, বর্ণালী মুখোপাধ্যায়-সহ ১৮টি বাম দলের নেতৃত্ব। দেশবন্ধু পার্কের সামনে সংক্ষিপ্ত সভা যখন হয়েছে, হাজির জনতার মাথার উপরে তখন ঝমঝমে বৃষ্টি! তার মধ্যেই বিমানবাবু, সূর্যবাবুরা বুঝিয়ে দিয়েছেন, শুধু যুদ্ধ হলেই সাম্রাজ্যবাদ বোঝায় না। অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং স্বৈরাচারও তার পথ প্রশস্ত করে। নরেন্দ্র মোদীর জমানায় সাধারণ নাগরিকদের আর্থিক দুর্দশা বেড়েছে এবং গণতন্ত্রের বিপদও ঘনিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ বাম নেতাদের। বিমানবাবু বলেন, ‘‘গণতন্ত্রে পিটিয়ে খুন চলে না। যারা স্বৈরাচারী সরকার, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, তারা পিটিয়ে খুনকে সমর্থন করে।’’ সংখ্যালঘু মানুষের কথা মাথায় রেখে সূর্যবাবুর বক্তব্য, ‘‘ভারতের এই প্রথম এক জন প্রধানমন্ত্রী ইজরায়েল গেলেন কিন্তু প্যালেস্তাইন গেলেন না!’’ দেশে বিজেপি এবং রাজ্যে তৃণমূল, দুই সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাবের দিকেও ইঙ্গিত ছিল বাম নেতাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy