পর্যটক শূন্য সৈকত। সোমবার দিঘায়। —নিজস্ব চিত্র।
প্রতি বছর এই সময়টায় দিঘায় উপচে পড়ে ভিড়। কিন্তু রবিবার ও সোমবার দু’দিনই দিঘা ছিল প্রায় সুনসান। একদিকে লোকসভা নির্বাচনের রেশ, অন্যদিকে চড়া গরম। এই দু’য়ের প্রভাবে দিঘায় পর্যটকের সংখ্যায় ভাটা পড়েছে, দাবি অনেকের।
রবিবার দুপুর ১২টা। যে সময় সমুদ্র সৈকত ভিড়ে থিকথিক করে, ওল্ড দিঘার বিভিন্ন স্নানের ঘাটে কার্যত হাতেগোনা পর্যটকের দেখা মিলেছে। দিঘার সবচেয়ে জমজমাট এলাকা বিশ্ববাংলা উদ্যানও ছিল ফাঁকা। এমন সুনসান রবিবারের দিঘা বোধহয় খুব একটা দেখেনি! রবিবারের দিঘার এমন চিত্রের কারণ লোকসভা ভোটই, মনে করছেন অনেকে। এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, “ভোটের দিন কোথায় কী হবে, সাতপাঁচ ভেবে অনেকে আসেননি।’’ দিঘাকে এক ঝলক দেখলে মনে হবে, যেন অঘোষিত ধর্মঘট চলছে। যদিও সোমবারের চিত্রটা কিছুটা হলেও ভাল। দুপুরে হাতেগোনা পর্যটক ওল্ড দিঘার ঘাটে স্নান করেছেন। শুধু একজন নুলিয়াকেই দেখা গেল, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সৈকতে উপস্থিত রয়েছেন। নদিয়ার কৃষ্ণনগর থেকে সপরিবারে বেড়াতে এসেছেন তানিয়া প্রামানিক। তিনি বলেন, ‘‘রবিবার সমুদ্র স্নান করতে এসেছিলাম। কিন্তু ফাঁকা সমুদ্রে নামতে ভয় করছিল। তাই হোটেলে ফিরে গিয়েছিলাম। সোমবার সৈকতে কিছু পর্যটক থাকায়, সাহস করে জলে করেছি।’’
সোমবার সৈকতের কয়েকটি দোকান খোলা থাকলেও, ওল্ড এবং নিউ দিঘার দোকানপাট সেভাবে খোলেনি! পর্যটক নেই, তাই দু’দিন হকারদেরও দেখা মেলেনি। রাস্তায় টোটো এবং রিকশার সংখ্যাও ছিল বেশ কম। চড়া রোদের কারণে সৈকতে উপস্থিত পুলিশকর্মীদের ঘর্মাক্ত অবস্থা। কলকাতার বেহালার বাসিন্দা সুমনা পোদ্দার বলছিলেন, ‘‘শনিবার থেকে দিঘায় আছি। আগেও বহুবার এসেছি, কিন্তু এত সুনসান দিঘাকে আগে কখনও দেখিনি।’’ বর্ধমানের পঞ্চানন রায়ের কথায়, “পাশেই সমুদ্র, তাই দিঘার বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও বেশি। ফলে অস্বস্তিবোধও বেশি হচ্ছে।’’
দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রবিবার দিঘার হোটেলগুলিতে পর্যটক ছিল না বললেই চলে। তবে সোমবার দুপুরের ট্রেনে কিছু পর্যটক এসেছেন। তবে সেই সংখ্যাটাও অনেক কম। মনে হচ্ছে, ২৩ মে নির্বাচনের ফল ঘোষণা পর্যন্ত দিঘায় এ রকমও পর্যটকের ভাটা চলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy