বিজেপির ‘থিম সঙ’ নিয়ে বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে শো-কজ করা হয়েছিল আসানসোলের দলীয় প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়কে। তার মধ্যেই ওই থিম সঙের ‘লিরিক’ বা বাণীর অনুমোদন চাইল বঙ্গ বিজেপি। এই অনুমোদনের জন্য মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও)-এর দফতরে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সঞ্জয় সিংহ।
অনুমোদন ছাড়াই ওই থিম সঙ ব্যবহারের অভিযোগে বাবুলকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছিল কমিশন। বাবুল তার জবাবও দিয়েছেন। গানটি কে গাইবেন, সেই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি সঞ্জয়বাবু। সিইও-র দফতরে জমা পড়া ওই গানের কয়েকটি শব্দ নিয়ে আপত্তি উঠতেই পারে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে কমিশন।
রবিবার বর্ধমানের একটি সভায় ‘বঁটি-খুন্তি’ ব্যবহার নিয়ে মন্তব্য করেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। তা নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন। ভাটপাড়ায় রবিবার দেওয়ালে লেখার সময় এক বিজেপি-কর্মীর শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। তার প্রতিবাদে সোমবার কাঁকিনাড়ায় রেল অবরোধহয়। সেই ঘটনায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলা নির্বাচন অফিসার এবং ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কমিশন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে আবার শো-কজ করেছে। এক কমিশন-কর্তা বলেন, ‘‘অনুব্রতের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। তা নিয়ে পৃথক পৃথক ভাবে শো-কজ করা হয়েছে।’’ অনুব্রতের ‘নকুলদানা’ উক্তির পাল্টা হিসেবে ‘মিহিদানা’র কথা বলেন যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা। সেই বিষয়েও রিপোর্ট তলব করছে কমিশন। ভোট লুটতে এলে পা নয়, বুক লক্ষ্য করে গুলি চালানোর জন্য আধাসেনাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু। সেই ঘটনায় সায়ন্তনের বিরুদ্ধে কমিশন অভিযোগ করেছে তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy