Advertisement
১৭ মে ২০২৪
Lok Sabha Election 2019

স্ত্রীর খবর রাখেন না, দেশ সামলাবেন কী ভাবে মোদী? কটাক্ষ মমতার

নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে তাঁর ‘গণতন্ত্রের থাপ্পড়’ মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক চলছেই। তার মধ্যেই এ দিন ফের নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: তৃণমূলের টুইটার হ্যান্ডল থেকে সংগৃহীত।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: তৃণমূলের টুইটার হ্যান্ডল থেকে সংগৃহীত।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৯ ১৬:০৯
Share: Save:

আগে জঙ্গলমহলে পা রাখতে ভয় পেতেন মানুষ। তাঁর সরকারই সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে, পুরুলিয়ার কোটশিলায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে এমনই দাবি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘১৯৯০ থেকে ২০১১ সালে আমাদের সরকার আসার আগে পর্যন্ত এই পরিবেশ ছিল জঙ্গলমহলের সর্বত্র। কিন্তু শান্তি প্রতিষ্ঠা করে দেখিয়েছি আমরা।’’

তিনি আরও বলেন, “উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পে ৬ লক্ষ ছেলেমেয়েকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি আমরা। সেখান থেকে ১০ হাজার ছেলেমেয়ে চাকরি পেয়েছে।”

নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে তাঁর ‘গণতন্ত্রের থাপ্পড়’ মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক চলছেই। তার মধ্যেই এ দিন ফের নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় স্ত্রী-র সম্পর্কে কোনও তথ্য দিতে পারেননি। যিনি নিজের স্ত্রীর খবর রাখেন না, তিনি দেশের মানুষকে দেখবেন কী ভাবে? বাংলার মানুষের খেয়াল রাখবেন কেমন করে?”

আরও পড়ুন: ‘গণতন্ত্রের থাপ্পড়’ মন্তব্যের নিন্দায় সুষমা, সব সীমা লঙ্ঘন করেছেন মমতা, হুঁশিয়ারি বিদেশমন্ত্রীর

বিজেপি যতই চমকাক, নরেন্দ্র মোদী যতই ধমকান, ওদের ভোট দেবেন না। আগে ছিলেন চা-ওয়ালা। এখন হয়েছেন চৌকিদার। প্রধানমন্ত্রী পদে বসে খামোকা চৌকিদার হওয়ার শখ কেন? মনোনয়নপত্রে স্ত্রী-র ব্যাপারে কিছুই জানাতে পারেননি। নিজের স্ত্রী-র খবর রাখেন না মোদী। তিনি দেশের মানুষকে দেখবেন কী ভাবে? শুধু নরেন্দ্র মোদী একা থাকবেন, আর বিজেপির গুন্ডারা থাকবে, তা হতে দেব না। টাকা ছড়িয়ে জনসভায় লোক জড়ো করছে বিজেপি। ভোট এলেই রাম-সীতার নাম জপতে শুরু করে বিজেপি। বিজেপি ভয়ঙ্কর দুষ্টু পার্টি। কাকে পুজো করব, সেটা বিজেপি ঠিক করে দেবে কেন? পাঁচ বছরে কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করেনি বিজেপি। কত বার পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়িয়েছে বিজেপি সরকার। সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার করছে ওরা। নরেন্দ্র মোদীকে ভোট কেন দেবেন? প্রধানমন্ত্রী হয়ে গ্যাসের দাম ১০০০ করে দিয়েছিলেন। আমাদের চিৎকারে কমিয়ে ৮০০ টাকা করেছে। দিল্লিতে বসে দালালি কোরো না। কয়েকটা নেতা বিমানে চড়ে দিল্লি যায়, পকেটভর্তি টাকা নিয়ে এসে নিজেরাই খায়।

আরও পড়ুন: এ এক অন্য অযোধ্যা, ভোপালের ভোটযুদ্ধে প্রজ্ঞার সঙ্গেই হিন্দুত্বের নৌকায় দিগ্বিজয়

আদিবাসীদের থেকে জোর করে জমি কেড়ে নেওয়া যাবে না। ঝাড়খণ্ডে এমন হয়েছে, কিন্তু বিজেপিকে এখানে তা করতে দেব না। দুর্ভোগের সময় এক বারও দেখতে আসেননি নরেন্দ্র মোদী। বরং গরিব মানুষদের নিয়ে রাজনীতি করেছেন। বিজেপির ছেলেরা কপালে ফেট্টি বেঁধে পুরুলিয়ায় অশান্তি বাধিয়ে যায়। গত পাঁছ বছরে বিজেপি কী করেছে? ছেলেমেয়েদের বিনামূল্যে সাইকেল দিয়েছি। চালু করেছি কন্যাশ্রী প্রকল্প। গরিব মেয়েদের জন্য রূপশ্রী প্রকল্পও চালু করা হয়েছে। জমির মিউটেশন ফি মকুব করেছি আমরা। বিমার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কৃষকদের থেকে টাকা নিচ্ছি না আমরা। পুরো টাকাটাই দেবে আমাদের মা-মাটি-মানুষ সরকার। বাজার থেকে ২৯ টাকায় চাল কিনে তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি দু’টাকায়। বাকি সাতাশ টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। জঙ্গলমহলে মাওবাদী সমস্যার সমাধান করেছি আমরা। ১৯৯০ থেকে ২০১১ সালে আমাদের সরকার আসার আগে পর্যন্ত এই পরিবেশ ছিল। সর্বত্র শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি আমরা। আগে পুরুলিয়া থমথমে ছিল। মানুষ ভয়ে থাকতেন। চারিদিকে আতঙ্কের পরিবেশ ছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE