ছবি: পিটিআই।
লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বারে বারে রাজ্যে এসে তৃণমূল সাংসদ তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অভিষেকের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে দাঁড়িয়ে বুধবার মোদী বললেন, ‘‘ভাইপোর ঝুলি শূন্য থাকবে।’’ যা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নিজের পাঁচ বছরের অপদার্থতা ঢাকার জন্যই বাংলাকে বেছে নিয়ে কুৎসিত আক্রমণ করছেন মোদী।’’
ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি প্রার্থী নীলাঞ্জন রায়ের সমর্থনে প্রচারসভায় মোদী এ দিন দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। ভোটের ফল বেরোলে অভিষেকের দফতরে তালা লেগে যাবে। মোদীর কথায়, ‘‘কান খুলে শুনে নাও দিদি। তোমার ঘরে এসে বলে যাচ্ছি। তোমার ভাইপোর এলাকায় বলছি। তোমার গালি এবং গুলির অত্যাচার মানুষ আর সহ্য করবে না। এটা গণতন্ত্র। মানুষ বদল চাইছে।’’
রাস্তা অবৈধ ভাবে দখল করে অভিষেকের দফতর বানানো হয়েছে বলেও এ দিন অভিযোগ করেন মোদী। বলেন, ‘‘দিদি আপনার দল তোলাবাজি করে এত টাকা কামিয়েছে। তা হলে ভাইপোর অফিস বানানোর জন্য সামান্য নিয়মটুকু মানতে পারলেন না? সেটাও রাস্তা দখল করে বানাতে হল?’’ মোদী দাবি করেন, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে নিজের বিধায়ক কার্যালয় করেছিলেন। পরে জানা যায়, সেই বাড়ি সরকারি রাস্তার খানিকটা অংশ দখল করে তৈরি হয়েছে। তখন তিনি বলেন হয় তাঁর বিধায়ক কার্যালয় বদলাতে হবে, নয়তো বাড়িটির বেআইনি অংশ ভেঙে ফেলতে হবে। শেষ পর্যন্ত নিজেই নিজের বিধায়ক কার্যালয় ভেঙে দেন গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী। এর পরই তাঁর সংযোজন, ‘‘কিন্তু এখানে দিদির শাসন। অতএব যা খুশি করা যায়।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তৃণমূলের পাল্টা বক্তব্য, মোদীর এই অভিযোগ তাঁর মিথ্যে বলার আর একটা জ্বলন্ত উদাহরণ। দলের দাবি, কালীঘাটের পটুয়াপাড়ায় অভিষেকের যে অফিস রয়েছে, তার সামনের ফুটপাথে ভোটের জন্য অস্থায়ী সামিয়ানা খাটানো হয়েছে মাত্র।
মমতা এবং অভিষেকের শাসনে সাধারণ মানুষের জন্য কেবল ‘ভয়’ আছে বলেও মোদীর অভিযোগ। তাঁর মতে, গরু পাচারকারী, নারী পাচারকারী, তোলাবাজ, সিন্ডিকেট-দুষ্কৃতী— শুধু এদের জন্যই ‘পিসি-ভাইপোর বরাভয়’ রয়েছে।
পার্থবাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘উনি যে চোরাচালানের কথা বলেন, সেগুলো সীমান্তে হয়। সীমান্ত পাহারার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। তার মানে উনি নিজেই নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করছেন। দেশে কি গণতন্ত্র চলছে?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy