প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের সব বুথকে অতি স্পর্শকাতর ঘোষণার দাবি করেছিল বিজেপি। কংগ্রেসও সব বুথকে স্পর্শকাতর ঘোষণার দাবি করেছিল। কিন্তু রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও) আরিজ আফতাব শুক্রবার বলেন, ‘‘স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা কমছে।’’ বিরোধীরা প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানালেও এ দিন সে ব্যাপারেও নিশ্চয়তা দেননি আফতাব। সিইও জানান, প্রত্যেক বুথে সশস্ত্র পাহারা থাকবে। তবে তা কেন্দ্রীয় বাহিনী হতে পারে, রাজ্য পুলিশও হতে পারে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, রাজ্যে স্পর্শকাতর বুথ কত হবে তা নির্ধারণের কাজ চলছে। পর্যবেক্ষকেরা জেলাশাসক, পুলিশ সুপার বা পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভোটের পাঁচ দিন আগে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়।
রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচন ১১ এপ্রিল। তার আগে কত কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে, দু’-এক দিনের মধ্যে তার ইঙ্গিত মিলতে পারে বলে এ দিন সিইও জানান। মোট কত কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে, সেই সংক্রান্ত তথ্য এখনও তাঁদের কাছে আসেনি বলে জানিয়েছেন সিইও।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করা সংক্রান্ত বিষয়ে সিইও জানান, কমিশনের গাইডলাইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভোটের চার দিন আগে কোনও গ্রেফতারি পরোয়ানা অকার্যকর থাকার কথা নয়। সেই মতো কাজ চলছে। সূত্রের খবর, ৭৮-৮০ শতাংশ গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর হয়েছে। তবে যে অংশটি বাকি রয়েছে, সেখানেই গোলমাল পাকানোর লোকের সংখ্যা বেশি। সে কারণেই বাকি পরোয়ানা দ্রুত কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
আন্তঃরাজ্য সীমানায় নিরাপত্তা আটোসাঁটো করার দাবি জানিয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলি। সে বিষয়েও সিইও জানান, ওই সব এলাকায় নাকা, টহলদারি, তল্লাশি— সবই চলছে।
দমদম বিমানবন্দরে সোনা-কাণ্ড নিয়ে এ দিন কোনও মন্তব্য করতে চাননি সিইও। অতিরিক্ত সিইও শৈবাল বর্মন জানান, স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) অনুযায়ী যা করার করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy