Advertisement
E-Paper

অধস্তনের অধীনে ভোটের কাজ কেন, মামলা শিক্ষকদের

নীচের স্তরের কর্মীদের অধীনে সংগঠনের সদস্যদের ভোটের ডিউটি করতে হবে বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছে নিখিল বঙ্গ সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৪৫
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিরাপত্তার অভাবের অভিযোগ তুলে শিক্ষকদের একাংশ ভোটের কাজে অনীহা প্রকাশ করেছিলেন। এ বার নির্বাচনে অধস্তন কর্মীদের অধীনে কাজ করতে আপত্তি তুললেন সরকারি কলেজের শিক্ষকদের একটি অংশ।

নীচের স্তরের কর্মীদের অধীনে সংগঠনের সদস্যদের ভোটের ডিউটি করতে হবে বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছে নিখিল বঙ্গ সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতি। সংগঠনের বক্তব্য, আদালত নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিক, যাতে অধস্তন কর্মীদের অধীনে শিক্ষকদের ডিউটিতে পাঠানো না-হয়। বিচারপতি দেবাংশু বসাক বুধবার সংগঠন ও কমিশনকে হলফনামা পেশের নির্দেশ দিয়ে জানান, ভোটের ডিউটিতে গিয়ে চাকরির ক্ষেত্রে শিক্ষকদের স্বার্থ যাতে ক্ষুণ্ণ না-হয়, আদালত সেটা দেখবে। তবে ওই শিক্ষক সংগঠনের অভিযোগ অসত্য হলে জরিমানা দিতে হবে।

শিক্ষক সংগঠনের আইনজীবী এক্রামুল বারি জানান, প্রিসাইডিং অফিসার, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পোলিং অফিসারের প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে শিক্ষকেরা জেনেছেন, তাঁদের কাজ করতে হবে সেক্টর অফিসারদের অধীনে। সেক্টর অফিসারেরা মূলত বিডিও। কলেজ-শিক্ষকেরা গেজেটেড পদমর্যাদার। বিডিও-দের অধীনে তাঁরা কাজ করতে পারেন না। সংগঠনের আশঙ্কা, অনেক ক্ষেত্রে প্রাথমিক স্কুলশিক্ষকদের অধীনেও কলেজ-শিক্ষকদের ভোটের ডিউটি করতে হবে। ভোটের ডিউটিতে যেতে সংগঠনের সদস্যদের আপত্তি নেই। কিন্তু নিম্ন পদমর্যাদার অফিসারের অধীনে তাঁরা কাজ করতে পারেন না। নির্বাচন কমিশনের নিয়মেও নিম্ন পদমর্যাদার অফিসারের অধীনে গেজেটেড পদমর্যাদার অফিসারদের নিয়োগ করার কথা বলা নেই।

আজ কোথায় কোথায় ভোট, দেখে নিন

নির্বাচন কমিশনের কৌঁসুলি দীপায়ন চৌধুরী জানান, শিক্ষকদের আশঙ্কা অমূলক। তাঁরা কোন পদে কর্মরত, সেটা খেয়াল রেখে এবং কমিশনের নিয়ম মেনেই ভোটের ডিউটিতে পাঠানো হয়। দু’-একটি ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু ইচ্ছা বা পরিকল্পনা করে এমন কাজ করা হয় না। সেক্টর অফিসারেরা ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করেন। প্রিসাইডিং অফিসার, প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় পোলিং অফিসারদের সঙ্গে তাঁদের সরাসরি কোনও যোগাযোগই থাকে না। তাই তাঁদের অধীনে কাজ করতে হবে, এ কথা ঠিক নয়।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বিচারপতি বসাক সংগঠনের কৌঁসুলিকে জানান, ভোটের ডিউটিতে যাওয়ার আগে কমিশনের সংশ্লিষ্ট অফিসারকে শিক্ষকেরা নিজেদের পদমর্যাদার কথা জানালে তাঁদের কারও অধীনে কাজ করতে পাঠানো হবে না বলেই তাঁর মনে হয়। তা ছাড়া সংগঠনের কোনও সদস্যকে কারও অধীনে ভোটের ডিউটিতে পাঠানো হয়েছে বলে কোনও প্রমাণও নেই।

Lok Sabha Election 2019 Teacher Inferior Staff Election Duty
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy