Advertisement
E-Paper

বাহিনী নিয়ে দুই নালিশ দুই দলের

আজ সকালে আসানসোলে বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের হাতাহাতির ঘটনা সামনে আসতেই দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৫৩
ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

দু’দলেরই অভিযোগ বাহিনীকে নিয়ে। তৃণমূলের অভিযোগ নিরপেক্ষ নয় আধাসেনা। বিজেপি বলছে, রাজ্য পুলিশ তৃণমূলের সহযোগী। দুই অভিযোগ নিয়ে আজ কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল ও বিজেপি।

আজ সকালে আসানসোলে বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের হাতাহাতির ঘটনা সামনে আসতেই দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল। কমিশনের কাছে তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ শান্তা ছেত্রী ও নেতা চন্দন মিত্র অভিযোগে জানান, নিয়ম ভেঙে সশস্ত্র দেহরক্ষী নিয়ে বুথে ঢুকেছেন বাবুল। শান্তাদেবীর অভিযোগ, বাবুল বুথে ঢুকে তৃণমূলের এজেন্টদের হুমকি দেন। ভয় দেখান ভোটারদের। বুথে থাকা আধাসেনা কোনও পদক্ষেপ করেনি। পরে কমিশন জানায়, বারাবনির ঘটনায় বাবুলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। কারণ তিনি সশস্ত্র রক্ষী নিয়ে বুথে ঢুকেছিলেন। পুলিশ পর্যবেক্ষকও প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়েছেন। বাবুলের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাতেও একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন।

আধাসেনা বিজেপির হয়ে কাজ করছে, কমিশনের প্রতিনিধিদের কাছে এই অভিযোগ করেন চন্দন মিত্ররা। তাঁদের অভিযোগ, দুবরাজপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা আজ সকাল থেকে ভোটারদের বাড়ি ঢুকে ভাঙচুর চালায়, ভয় দেখায়, বিজেপিকে ভোট না দিলে মারধর করার হুমকি দেয়। গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ করলে তাদের লক্ষ্য করে আধাসেনা গুলিও চালিয়েছে। দলের অভিযোগ, গুলিতে এক মহিলা আহত হন। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন বলেন, ‘‘দুবরাজপুরে কিছু লোক ক্যামেরা নিয়ে বুথে ঢুকে ছবি তুলছিলেন। বাধা দিলে প্রায় দেড়শো গ্রামবাসী ওই বুথে চড়াও হলে শূন্যে এক রাউন্ড গুলি চালায় আধাসেনা। কেউ আহত হননি।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

তৃণমূলের প্রতিনিধিদের দেখা করে আসার সামান্য আগেই কমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিজেপি নেতারা। কমিশনের সামনে বারাবনির ঘটনা তুলে বিজেপি নেতারা অভিযোগ করেন তৃণমূল সমর্থকেরা গণতন্ত্র ধ্বংসের খেলায় মেতেছেন। বৈঠক সেরে বেরিযে বিজেপি নেতা মুখতার আব্বাস নকভি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের গুন্ডাগিরিতে মানুষ ভোট দিতে পারছেন না। স্থানীয় প্রশাসন ওই তৃণমূল সমর্থকদের সাহায্য করছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রাখা হচ্ছে।’’ তাই আগামী তিন দফা ভোটে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন চেয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।

গোটা দেশের মধ্যে কেবল পশ্চিমবঙ্গে অশান্তির খবর অস্বস্তিতে রেখেছে কমিশনকেও। উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন তা স্বীকার করে বলেন, ‘‘কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে পর্যাপ্ত আধাসেনা রয়েছে। ভবিষ্যতে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হবে কি না, তা পর্যবেক্ষকদের রিপোর্টের ভিত্তিতে চূড়ান্ত হবে।’’

Election 2019 Phase 4 Lok Sabha Election 2019 Election commission TMC BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy