বোল্লাকালী মন্দিরে পুজো দিয়ে ভোটের প্রচারে নামলেন তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ। শুক্রবার রাতে কলকাতা থেকে বালুরঘাটে ফেরেন। শনিবার সকালে প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি পুজো দেন। পুজো সেরে কয়েকটি ছোট ছোট কর্মিসভা করেন। প্রচারে রণকৌশল কী হবে তা ঠিক করতে বৈঠকও করেন। এ দিন বিকেল ও সন্ধ্যায় বালুরঘাটের অমৃতখণ্ড এবং চিঙ্গিশপুরে দু’টি কর্মিসভাতেই অর্পিতা বলেন, ‘‘এক সময় ওই এলাকাগুলিতে আমাদের ভাল ফল হত। কিন্তু হঠাৎ গত পঞ্চায়েতে ফল খারপ হল। হেরে যাওয়ার অনেকগুলি কারণের মধ্যে একটি কারণ আমরা নিজেরা। তবে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব না।’’
আজ, রবিবার বালুরঘাটে জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের নেতৃত্বে আয়োজিত তৃণমূল জেলার কোর কমিটির নেতাদের নিয়ে বৈঠকের পরে প্রচারের রণকৌশল ঠিক হবে বলে দল সূত্রের খবর। তার আগেই অর্পিতা প্রচারে নেমে পড়ায় দলের কর্মীদের একাংশ মধ্যে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। অর্পিতার অবশ্য বক্তব্য, রবিবার দলের পর্যবেক্ষক গৌতম দেবের সভা থেকেই ভোট প্রচারের মূল রণকৌশল ঠিক হবে। তার আগে এ দিন ছোট ছোট কর্মী-বৈঠক করা হয়।
এ দিন সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি প্রাক্তন বাম সাংসদ প্রশান্ত মজুমদারকে দেখতে যান তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি বালুরঘাটের প্রাক্তন আরএসপি পুরপ্রধান দীপঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করেন অর্পিতা। তবে দু’জনের কেউ কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে অর্পিতা যান অমৃতখণ্ড ও চিঙ্গিশপুরে কর্মী-বৈঠকে। সেখানে উন্নয়নের ফিরিস্তি দিয়ে বলেন, ‘‘বুথের কর্মীদের উপরেই নির্বাচন দাঁড়িয়ে থাকে।’’ উপস্থিত কর্মীদের তিনি কাজ শুরু করতে আহ্বান জানান। তাঁর হয়ে কলকাতা থেকে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী এবং নাট্যকর্মী বন্ধুবান্ধব ও হেভিওয়েট নেতারা প্রচারে আসবেন বলে অর্পিতা দাবি করেন।