বালুরঘাটের পরে এ বার কোচবিহার। তৃণমূল নেতা ছাপ্পা ভোট দিতে বলছেন, এমনই অভিযোগ উঠেছে। বুধবার কোচবিহারে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় ওই অডিয়ো, বালুরঘাটে একটি ভিডিয়ো তুলে দেওয়া হয়েছে নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের হাতে। দু’টির কোনওটিরই সত্যতা আনন্দবাজার খতিয়ে দেখেনি। বালুরঘাটে বামেরা এবং কোচবিহারে বিজেপির অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দিকে। তৃণমূল তা অস্বীকার করেছে।
কোচবিহারে চার মিনিট দশ সেকন্ডের ওই অডিয়ো ক্লিপিংসে এক জন বলছেন, “অন্য কোনও দলকে একটাও ভোট দেওয়া যাবে না।’’ তার পরে সেই ব্যক্তি বলছেন, ‘‘সবাই বুঝে গিয়েছে প্যারা মিলিটারি সব বুথে থাকবে না। যেমন আমাদের ভজনপুর বুথে প্যারা মিলিটারি থাকবে না। আর বিডিও-পুলিশ যা আছে সবাই আমার কর্মচারী, আজিজুল মিয়াঁর কর্মচারী। সমস্ত বিষয় কন্ট্রোলে আছে। আমরা সারা রাত ঘুরব। ৫-৬ জন সেটিং করবেন প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে। তার পরে ছাপ্পা মারবেন। লক্ষ করবেন সবাই যাতে তৃণমূলে ভোট দেয়।”
বিজেপির দাবি, কোচবিহার ১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি খোকন মিয়াঁই এ কথা বলেছেন। বিজেপি নির্বাচন কমিশনেও অভিযোগ জানিয়েছে। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “ভোটে হেরে যাবে বুঝতে পেরে বিজেপি ষড়যন্ত্র করছে। খোকন মিয়াঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে।” খোকন বলেন, “এলাকার মানুষ আমাকে জানেন। তাই মিথ্যে অডিও দিয়ে আমার বদনাম করার চেষ্টা করে লাভ নেই।”
ওই অডিয়োয় আরও একজনের কণ্ঠস্বরও শোনা গিয়েছে। তিনি বলছেন, “একটিও ভোট বিজেপিকে দেওয়া যাবে না।’’ বিজেপির দাবি, এই ব্যক্তি বলেন তৃণমূলের নেতা আজিজুল হক। বিজেপির ন্যাশনাল কাউন্সিল সদস্য নিত্যানন্দ মুন্সি বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে সব বুথে ছাপ্পা হয়েছে। লোকসভাতেও তেমন ছক তৈরি করা হয়েছে। ওই অডিও থেকে স্পষ্ট ভাবে তৃণমূলের দুই নেতার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। আমরা কমিশনে অভিযোগে জানিয়েছে।” কমিশনের তরফে ওই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy