অভিযোগ জানিয়ে সোমবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখেছিল বিজেপি। সেই চিঠি পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এসএসএ) সুরজিৎ কর পুরকায়স্থের প্রশাসনিক অবস্থান জানতে চাইল কমিশন। মঙ্গলবার নিজেদের লিখিত ব্যাখ্যা কমিশনকে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার।
২০১৮ সালের ২৩ মে যে-গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ সৃষ্টি করা হয়েছিল, কমিশনকে লেখা চিঠিতে তার চার ও পাঁচ নম্বর ধারার উল্লেখ করেছে বিজেপি। ওই দুই ধারায় বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের সব সংস্থার মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করবেন এসএসএ। কৌশলগত হস্তক্ষেপ করবেন তিনি। সংস্থাগুলি নিরাপত্তা সংক্রান্ত যে-সব প্রস্তাব রাজ্যের অনুমোদনের জন্য পাঠাবে, সেগুলিও যাচাই করবেন।
চিঠিতে বিজেপির অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকা রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে কার্যত এসএসএ-র অধীনে এনে দিয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত অফিসার হলেও সুরজিৎ রাজ্যের মুখ্যসচিবের থেকে বেশি বেতন পান। বিজেপির দাবি, রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টার যাবতীয় ক্ষমতা অবিলম্বে রদ করতে হবে। নির্বাচন চলা পর্যন্ত পুলিশবাহিনীর উপরে নজরদারি এবং নিয়ন্ত্রণ রুখতে অবসরপ্রাপ্ত সুরজিৎকে অপসারণ করতে হবে।
এই চিঠি পেয়েই রাজ্যের কাছে প্রশাসনে সুরজিতের অবস্থান সংক্রান্ত ব্যাখ্যা চায় নির্বাচন সদন। কালক্ষেপ না-করে মঙ্গলবারেই সেই ব্যাখ্যা পাঠিয়ে দিয়েছে রাজ্য। সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, সরকার জানিয়েছে, ডিজি এবং সিপি-সহ প্রশাসনের সব অফিসারই এখন নির্বাচন কমিশনের অধীন (ডেপুটেশনে থাকা অফিসার)। নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদটি যে-গেজেট নির্দেশিকার মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল, নির্বাচনী আচরণবিধি জারি হওয়ার পরে তা আর কার্যকর থাকছে না। ফলে এসএসএ সুরজিৎ ডিজি, সিপি বা পুলিশের অন্য অফিসারের কাজে নজরদারি করতে বা তাঁদের নির্দেশ দিতে পারবেন না। নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে তিনি দূরে রয়েছেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
প্রশাসনের এক আইন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘‘এসএসএ মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা। রাজ্যের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পরামর্শ নিতে পারেন। বিজ্ঞপ্তির এক নম্বর ধারায় বলছে, মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান সচিব (কো-অর্ডিনেটর) হিসেবে কাজ করবেন এসএসএ। নির্বাচনের সময় তাঁর ভূমিকা থাকছে না।’’
অনেক প্রবীণ ও প্রাক্তন আমলা মনে করেন, চাইলে এসএসএ-র ক্ষমতা সাময়িক ভাবে রদ করতে পারে কমিশন। তবে তাঁকে সরানো যায় কি না, সেটা বলা যাচ্ছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy