নদিয়াতে অনেক দিনই চালু জোরকদমে। এ বার মুর্শিদাবাদেও ছড়াচ্ছে গোবিন্দভোগ চালের চাষ। প্রধানত ভাগীরথীর পশ্চিম পাড়ে চাষ হচ্ছে। জেলা কৃষি দফতরের হিসেব, জেলায় প্রায় হাজার হেক্টর জমিতে গোবিন্দভোগ চাষ হচ্ছে এ বার। তার মধ্যে আছে মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ, ভরতপুর-১, কান্দি, খড়গ্রাম, বহরমপুর, সাগরদিঘি, রানিনগর-২, বেলডাঙা-২ ব্লক।
আষাঢ়ে বৃষ্টি পড়লে ওই ধানের চাষ শুরু হয়। প্রতি বিঘায় ৩ কিলোগ্রাম মতো বীজধান লাগে। গাছে ফুল আসার পর ২৮-৩২ দিনের মধ্যে ধান কেটে নিতে হয়।
ভরতপুর-২ ব্লকের চাষি জগন্নাথ ঘোষ, দিলীপ ঘোষাল বলেন, ‘‘কম খরচে লাভজনক চাষ।’’ সার, শ্রম দুটোই কম লাগে। আগাছা পরিষ্কার করে গাছকে বাড়তে দিলে খুব ভাল ফসল হয়। সাধারণ ধান যখন হাজার টাকা কুইন্টাল, তখন গোবিন্দভোগ ১৮০০ টাকায় বিক্রি হয়। বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী কৌশিক ব্রহ্মচারী অবশ্য জানান, চাষিরা সমবায় বা ফার্মার্স ক্লাব তৈরি করে ধান বিক্রি করলে কুইন্টালে আড়াই-তিন হাজার টাকাও মিলতে পারে। তিনি জানান, বিঘে প্রতি মিনি কিট (শতাব্দী) বা ‘আই আর’ প্রজাতির চাইতে সুগন্ধি চাল ফলে কম। কিন্তু দাম বেশি বলে চাষিদের লাভই হয়।
তবে সাধারণ মেশিনে গোবিন্দভোগ ভাঙাতে গেলে চাল ভেঙে যেতে পারে। রাবারের রোলার যুক্ত মেশিন চাই। যা জেলায় নেই। তাই চাষিদের বলা হয় কৃষি বিপণন দফতরের কাছে ধান বিক্রি করতে।
মুর্শিদাবাদ জেলা কৃষি উপ-অধিকর্তা দীনেশ পাল বলেন, ‘‘এই ধানে রোগ পোকার আক্রমণ কম। জৈব সার প্রয়োগ বেশি হয় বলে চাষিদের খরচ কমে।’’ তিনি জানান, এক বিঘা জমিতে ৩-৪ কুইন্টাল গোবিন্দভোগ ধান হয়। বিভিন্ন ব্লক ও মহকুমা থেকে চাষিদের ওই ধানবীজ দেওয়া শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy