ছবি: সংগৃহীত
পরীক্ষা সবে শুরু হবে। অনেক স্কুলেই ক্লাসে ঢুকে গিয়েছে ছাত্রছাত্রীরা। শিক্ষকেরা প্রশ্নপত্র বিলির তোড়জোড় শুরু করেছেন। হঠাৎ, বাইরে অভিভাবকদের কয়েকজনের মোবাইলে হোয়াট্সঅ্যাপে পৌঁছে গেল প্রশ্নপত্রের পাতার ছবি। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ল সর্বত্র। তবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। পৌনে একটা নাগাদ প্রশ্নপত্র বাইরে আসে। তাই সেই প্রশ্নপত্র কোনও ভাবেই পরীক্ষার্থীদের হাতে আসা সম্ভব নয়।
তবে অনেকেই দাবি করেছেন, পরীক্ষা শুরুর অনেক আগে, সাড়ে এগারোটার সামান্য পরেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট বা টেট–এ প্রশ্ন ফাঁসের মতো একই ভাবে হোয়াট্সঅ্যাপের মাধ্যমে মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বাইরে চলে আসার ঘটনা ঘটল। ২০১৫ সালের অক্টোবরের পর ২০১৭ সালের মার্চ ফের প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ।
বুধবার মাধ্যমিকের ভৌতবিজ্ঞানের পরীক্ষা ছিল। বেলা ১২টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বাড়ি ভাঙছে বড়বাজারে, অগ্নিযুদ্ধ জারি
মালদহে জেলা জুড়ে হোয়াট্সঅ্যাপে প্রশ্নপত্র চালাচালি শুরু হয়ে যায় বেলা সাড়ে ১১টা থেকেই। এমনকি, জেলা শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের কাছেও চলে আসে সেই প্রশ্নের নমুনা। মালদহের শিক্ষা দফতরের অনুমান, জেলার রতুয়া ১ ব্লকের ভাদো এলাকার একটি স্কুল থেকে প্রশ্ন হোয়াট্সঅ্যাপের মাধ্যমে ছড়িয়েছে। পরীক্ষা চলাকীলীনই জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অন্য আধিকারিকদের নিয়ে ওই স্কুলে চলে যান। ছিলেন ব্লক প্রশাসনের কর্তারাও। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোন ফোন থেকে কোন ফোনে হোয়াট্সঅ্যাপ ছড়িয়েছে, তার খোঁজ করতেই ওই স্কুলের কথা উঠে আসে। রাত পর্যন্ত ওই স্কুলের শিক্ষক ও কর্মীদের নিয়ে বৈঠক চলছে। তবে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক দাবি করেছেন, অভিযোগ ভিত্তিহীন।
কল্যাণবাবুর বক্তব্য, পর্ষদের গায়ে কাদা ছিটোতেই এমন কাজ কেউ করে থাকতে পারে। তবে এই ঘটনা যে অস্বস্তিকর, তা মেনে নিয়েছেন সভাপতি। নিয়ম অনুযায়ী, সাড়ে এগারোটা নাগাদ প্রশ্নপত্রের খাম খোলা হয়। তার আগেই পর্ষদের নিযুক্ত চার কর্তা ছাড়া সকলেরই মোবাইল ফোন বন্ধ করে প্রধান শিক্ষকের কাছে রাখতে হয়। প্রশ্ন উঠেছে, এই নিয়ম কি মানা হয়নি? যে চার জনের কাছে চালু মোবাইল থাকার কথা, তাঁদের মধ্যে কেউ এই বিষয়ে জড়িত কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy