কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হলেন অধ্যাপক মলয়েন্দু সাহা। বিদায়ী উপাচার্য রতনলাল হাংলু মঙ্গলবার দায়িত্ব ছাড়েন। নতুন অস্থায়ী উপাচার্যের এ দিনই দায়িত্ব নেওয়ার কথা থাকলেও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ, বুধবার তিনি কাজে যোগ দেবেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন মলয়েন্দুবাবু। ২০১৩ সালে তিনি রাজ্য উচ্চশিক্ষা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে যোগ দেন। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের আগে পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য সুগত মারজিত। সুগতবাবু ওই পদ থেকে সরে দাঁড়ালে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় পর্ষদের চেয়ারম্যান হন। ভাইস চেয়ারম্যান হন মলয়েন্দু সাহা।
এ দিকে, কিছু কাগজপত্র পোড়ানোকে কেন্দ্র করে এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। কেউ কিছু কাগজপত্র পোড়াতে গেলে বাধা দেন এক দল কর্মী। তবে, ওই কাগজগুলির মধ্যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ নথি ছিল না বলেই বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে। রতনলাল হাংলুর দাবি, তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে উন্নতির যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। আগামী দিনে উন্নয়নের সেই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদী হাংলু। উপাচার্য হয়ে আসার পরে হাংলু অঙ্কের অধ্যাপক ইন্দ্রজিৎ লাহিড়িকে মুখ্য প্রশাসনিক আধিকারিকের পদ দেন। উদ্ভিদবিদ্যার অধ্যাপক সুজাতা চৌধুরীকে চিফ প্রক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। রতনলাল হাংলু বিদায় নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই দু’জন তাঁদের অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নিয়েছেন।
প্রাক্তন উপাচার্যের আমলে বিএড এবং স্নাতকোত্তরে অনলাইন ভর্তির প্রক্রিয়ার দায়িত্বে ছিলেন সুজাতাদেবী। নতুন উপাচার্য এলে পদচ্যুত হতে পারেন, সেই আশঙ্কাতেই পদত্যাগ করেছেন বলে তাঁরা ঘনিষ্টমহলে জানিয়েছেন। এ দিন সুজাতাদেবীই কিছু কাগজপত্র পোড়াচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু, এই বিষয়ে তাঁর কোনও বক্তব্য জানা যায়নি। তিনি ফোন ধরেননি। জবাব দেননি এসএমএস-এরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy