Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Amit Shah

রাজনীতির বৃহস্পতি তুঙ্গে দক্ষিণে, একই দিনে ময়দানে মমতা, অভিষেক, অমিত

দক্ষিণ ২৪ পরগনা তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে এই জেলার চারটি আসনেই দাঁত ফোঁটাতে পারেনি বিজেপি।

একই দিনে  দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কর্মসূচি নিয়ে নামছেন রাজনীতির তিন তারকা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অমিত শাহ।

একই দিনে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কর্মসূচি নিয়ে নামছেন রাজনীতির তিন তারকা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অমিত শাহ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২০:০৭
Share: Save:

বৃহস্পতিবার বঙ্গভোট-রাজনীতির বৃহস্পতি তুঙ্গে উঠছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। একই দিনে এই জেলায় কর্মসূচি নিয়ে নামছেন রাজনীতির তিন তারকা। অমিত শাহ দুপুরে সাগরে যাচ্ছেন কপিলমুনির আশ্রমে পুজো দিতে। তার পরে হেলিকপ্টারে নামখানা গিয়ে সেখান থেকে বিজেপি-র পরিবর্তন যাত্রা শুরু করবেন। আর এক দিকে একমঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিষেকের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের বিষ্ণুপুরে তৃণমূলের কর্মী সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন দু’জন।

শাহের কর্মসূচি শুধু সাগরে পুজো কিংবা নামখানায় পরিবর্তন যাত্রা দিয়েই শেষ হবে না। দুপুরে নামখানার নারায়ণপুরে মত্স্যজীবী সুব্রত বিশ্বাসের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখান থেকে কাকদ্বীপ গিয়ে একটি জনসভাতেও অংশ নেওয়ার কথা তাঁর।

বৃহস্পতিবার তৃণমূলের বুথস্তরের কর্মীদের সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। কিন্তু পরে তা দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বিষ্ণুপুর বিধানসভা এলাকার দৌলতপুরে এই কর্মী সম্মেলন হবে। বিজেপি বলছে, শাহের রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্যই এই পরিবর্তন করেছে তৃণমূল। যদিও তৃণমূলের দাবি, এই স্থান পরিবর্তনের সঙ্গে শাহের কর্মসূচির কোনও সম্পর্ক নেই।

ভোটের হিসেবনিকেশে দক্ষিণ ২৪ পরগনা তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে এই জেলার চারটি আসনেই দাঁত ফোঁটাতে পারেনি বিজেপি। বিধানসভা ভিত্তিক ফলে দেখা যাচ্ছে, ৩১টি বিধানসভা কেন্দ্রেই এগিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থীরা। তার আগে ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে ৩১টির মধ্যে ২৯টিতে জয় পেয়েছিল তৃণমূল। তাই নীল বাড়ির ক্ষমতা দখলে রাখতে এ বারও সে রকম ফলেরই পুনরাবৃত্তি চাইছে শাসক দল। মমতা-অভিষেক কেউই এখানে বিজেপি-কে জায়গা ছাড়তে নারাজ।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার এক নেতার কথায়, ‘‘দিদির কাছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার গুরুত্বই আলাদা। কারণ এই জেলার যাদবপুর থেকে জিতেই দিদির রাজনৈতিক উত্থান শুরু হয়েছিল। আবার অভিষেকও এই জেলার ডায়মন্ড হারবার থেকে জিতেই রাজ্য রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। তাই এখানে বিজেপি-কে যে তাঁরা ছেড়ে কথা বলবেন না, সেটাই স্বাভাবিক।’’ ভোট ঘোষণা না হলেও, তৃণমূল নেত্রী ইতিমধ্যে কর্মিসভার পাশাপাশি জনসভা ও সামাজিক কর্মসূচি মিলিয়ে মোট ১৮টি কর্মসূচি করেছেন। এর মধ্যে দুটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন তাঁর সাংসদ ভাইপো। প্রথমটি ২৮ জানুয়ারি কলকাতায় হিন্দিভাষী সঙ্ঘের সম্মেলনে এবং দ্বিতীয়টি ৪ ফেব্রুয়ারি গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে তৃণমূলের তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি সংগঠনের কর্মীদের অনুষ্ঠান। কিন্তু শাহের জেলা সফরের দিনেই মমতা-অভিষেকের এই কর্মী সম্মেলন যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ। জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিজেপি স্লোগান দিয়েছিল ১৯-এ-হাফ, ২১-এ-সাফ। কিন্তু আমরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার চারটি আসনেই তৃণমূল প্রার্থীদের দ্বিগুণ বা তিনগুণ ভোটের ব্যবধানে জয়ী করেছি। এই জেলায় বিজেপির কোনও ভিত্তি নেই, অমিতবাবু এলেও নেই। বিষ্ণুপুরের মাটিতে আমাদের সভানেত্রী ও যুবনেতা তাঁকে যোগ্য জবাব দেবেন। বিজেপি তার জন্য তৈরি থাকুক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE