Advertisement
E-Paper

‘চোর’ বললেও ভয় না পেয়ে বুক চিতিয়ে তৃণমূল করুন! বললেন নেত্রী মমতা, ধৃত নেতাদেরও দলের বার্তা

পঞ্চায়েত ভোটের আগে একাধিক দুর্নীতির তির এসে বিঁধেছে তৃণমূলের গায়ে। মমতার বার্তা কি তবে ভোটের আগে দলের নেতাদের উজ্জীবিত করার জন্যই?

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৩ ২০:৪৬
অভয় দিলেন মমতা।

অভয় দিলেন মমতা। ফাইল চিত্র।

ভয় না পেয়ে তৃণমূল করতে বললেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্নীতির অভিযোগে যখন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের বেশ কিছু ছোট-বড় নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক জেলে, তখনই এল মমতার এই বার্তা। তৃণমূল সূত্রে খবর, পার্টির বিশেষ বৈঠকে মমতা দলের নেতাদের বলেছেন, ‘‘চোর বললে ভয় পাবেন না। বুক চিতিয়ে তৃণমূল করুন।’’

পঞ্চায়েত ভোটের আগে একাধিক দুর্নীতির তির এসে বিঁধেছে তৃণমূলের গায়ে। রাজনীতির অলিন্দে ঘোরাফেরা করা অনেকেই মনে করছেন, তাতে ভোটের আগে কিছুটা চাপ তৈরি হয়েছে শাসকদলের উপর। মমতার বার্তা কি তবে ভোটের আগে দলের নেতাদের উজ্জীবিত করার জন্যই? বিরোধীদের একাংশ অবশ্য বলছেন, মমতার এই বার্তা জেলবন্দি নেতাদের প্রতি বার্তাও হতে পারে।

বৃহস্পতিবারই আদালত চত্বরে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এবং নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন, তিনি এখনও তৃণমূলেই আছেন। জেলে এবং ইডি হেফাজতে থাকা তৃণমূলের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য এবং বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধেও কোনও পদক্ষেপ করেনি দল। এমনকি, তাঁদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, সেই প্রশ্ন করা হলে বার বার এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে দলের তরফে। যদিও শুক্রবার মমতার বাড়িতে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বলে দেন, ‘‘দুর্নীতি নিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট। দল কোনও দুর্নীতিই মেনে নেবে না। যাঁরা দোষ করেছেন, শাস্তি পেয়েছেন। কোনও কোনও ক্ষেত্রে হয়তো বিলম্ব হয়েছে বা হচ্ছে। তবে বিষয়টি দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির হাতে। তারাই যথাসময়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’’

উল্লেখ্য, এই শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির প্রধান পদে এক সময়ে ছিলেন পার্থ। তবে নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার এক সপ্তাহের মধ্যেই পদক্ষেপ করেছিল কমিটি। দলের মহাসচিব পদ হারিয়েছিলেন পার্থ। দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল তাঁকে। এর পর দুর্নীতির অভিযোগে মানিক বা অনুব্রতের নাম প্রকাশ্যে এলেও তাঁদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি কোনও পদক্ষেপ করেনি। পরে নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূলের হুগলি জেলার দুই নেতা শান্তনু এবং কুন্তলের নাম প্রকাশ্যে আসার পর তাঁদেরও বহিষ্কার করা হয় দল থেকে।

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার কালীঘাটের বাড়িতে শীর্ষনেতাদের বৈঠকে মমতাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘দুর্নীতি তদন্ত নিয়ে আদালতে বিচার চলছে, আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করি না। সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি একজোট হয়ে অপপ্রচার করছে। ওরা হাত মিলিয়েছে। কিন্তু কোনও চিন্তা করবেন না। আপনারাও হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করুন।’’ পরে অবশ্য তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠকে সুদীপও নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি-সিবিআইয়ের কর্মপদ্ধতি প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘ইডি-সিবিআই নিয়ে আদালতের বিচারপতিরাই প্রশ্ন তুলছেন। আমরা নতুন করে কিছু বলছি না, তবে এটা স্পষ্ট যে, এরা নিজেদের কাজ করছে না।’’

Mamata Banerjee kalighat TMC Panchayat Election West Bengal SSC Scam TET Scam Cattle Smuggling Scam Anubrata Mondal Partha Chatterjee
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy