বুধবার নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সুদীপ আচার্য।
বিরোধীদের দাবি মেনে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে শেষ পর্যন্ত সর্বদল বৈঠক ডাকল রাজ্য সরকার। ৮ অগস্ট নবান্নে ওই বৈঠক ডাকা হয়েছে। বিধানসভায় প্রতিনিধিত্ব আছে, এমন সব দলকেই বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হচ্ছে বলে সরকারি সূত্রের খবর।
রাজ্যের ১২টি জেলার ২২২টি ব্লক এই মুহূর্তে জলমগ্ন। বহু মানুষ বাড়ি ছেড়ে ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমে বলেছিলেন, গরিবের সংসার হলেও তাঁর সরকারই ত্রাণ দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। অন্য দলের ত্রাণ নিয়ে গিয়ে রাজনীতি করার দরকার নেই। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে ‘ত্রাণ ফতোয়া’ বলেই মনে করেছিলেন বিরোধীরা। গত কয়েক দিন ধরেই তাঁরা ধারাবাহিক ভাবে অভিযোগ করে আসছেন, সরকারি ত্রাণ সর্বত্র দুর্গত মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে না। উপরন্তু ত্রাণ বণ্টনের নামে শাসক দলের দলবাজির অভিযোগ আসছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য থেকে একেবারে ব্লক স্তর পর্যন্ত প্রশাসনের সর্বদল বৈঠক ডাকা উচিত বলে দাবি জানিয়েছিলেন বিরোধী নেতারা। মঙ্গলবারই বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র এবং কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা মহম্মদ সোহরাব এই মর্মে আনুষ্ঠানিক ভাবে চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি মঙ্গলবারই জানিয়েছেন, দিল্লি গিয়ে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অবহিত করবেন। তার পরে বুধবার সিদ্ধান্ত হয়েছে সর্বদল বৈঠক ডাকা হবে। নবান্ন থেকে বেরনোর সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘শনিবার বিকাল ৪টেয় সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছে।’’
বামফ্রন্ট, কংগ্রেস বা বিজেপির মতো বিরোধী দলগুলির নেতৃত্ব অবশ্য জানিয়েছেন, এ দিন রাত পর্যন্ত তাঁরা বৈঠকের চিঠি পাননি। এ দিন মুজফ্ফর আহমেদের জন্মদিনের অনুষ্ঠানের ম়ঞ্চ থেকেই সূর্যবাবু বলেন, ‘‘সবর্দল বৈঠক হবে শুনেছি। তবে চিঠি না পেলে এই সরকারের কিছুই বিশ্বাস করা যায় না!’’ রাতে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বিরোধী দলনেতাকে ফোন করে বৈঠকের খবর জানিয়েছেন বলে সরকারি সূত্রের বক্তব্য। বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের বক্তব্য, সর্বদল বৈঠকের পক্ষপাতী না হলেও তাঁরা যাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy