Advertisement
E-Paper

রাজ্যের প্রাপ্য টাকা দিন! অর্থ কমিশনের বৈঠকে মমতার সঙ্গে একই সুরে সরব সিপিএম, কংগ্রেস

মুখ্যমন্ত্রী মমতা রাজ্যের বকেয়া পাওনার দাবিতে সরব হয়েছেন। তাঁর প্রশ্ন, কেন কেন্দ্রীয় সরকার তাদের পছন্দ মতো রং ব্যবহারের জন্য চাপ দিচ্ছে? তা হচ্ছে না বলে টাকা আটকে রেখেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:২৮
ষোড়শ অর্থ কমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে সরব হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ষোড়শ অর্থ কমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে সরব হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্যের প্রাপ্যের দাবিতে ষোড়শ অর্থ কমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে সরব হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের পাওনার দাবিতে সুর মেলাল বিরোধী সিপিএম এবং কংগ্রেসও।

ষোড়শ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান অরবিন্দ পানগড়িয়ার নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেন নবান্ন সভাঘরে। রাজ্য সরকারের তরফে মমতা ছাড়াও ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। ছিলেন রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সিপিএমের তরফে ছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং পলিটব্যুরোর সদস্য রামচন্দ্র ডোম। কংগ্রেসের প্রতিনিধি হিসাবে গিয়েছিলেন সুখবিলাস বর্মা। কংগ্রেসের তরফে পুরসভা, পঞ্চায়েত স্তরে এবং শিক্ষাখাতে আরও বেশি বরাদ্দেরও দাবি জানানো হয়েছে। বিজেপির তরফে বৈঠকে হাজির ছিলেন দুই বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এবং দীপক বর্মণ।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বৈঠকে রাজ্যের বকেয়া পাওনার দাবিতে সরব হয়েছেন। তাঁর প্রশ্ন, কেন কেন্দ্রীয় সরকার তাদের পছন্দ মতো রং ব্যবহারের জন্য চাপ দিচ্ছে? তা হচ্ছে না বলে টাকা আটকে রেখেছে। মুখ্যমন্ত্রী এ-ও প্রশ্ন তোলেন, রাজ্য সরকার ৪০ শতাংশ টাকা দেয়, তা-ও কেন কেন্দ্রের দেওয়া নাম প্রকল্পগুলিতে ব্যবহার করতে হবে? কেন্দ্রীয় সরকার যে কর সংগ্রহ করে, তার ৫০ শতাংশ রাজ্যকে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মমতা। যা এখন ৪১ শতাংশ হারে পায় রাজ্য। কংগ্রেসও ৫০ শতাংশ করের দাবি জানিয়েছে।

সিপিএম তাদের স্মারকলিপিতে আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজ, গ্রাম সড়ক যোজনায় রাজ্যের প্রাপ্যের দাবি জানিয়েছে। যদিও পরে সেলিম বলেন, ‘‘এখানে বিভন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু তাই বলে টাকা আটকে মানুষকে শাস্তি দেওয়া যায় না।’’ জিএসটি কাঠামো সরলীকরণেরও দাবি জানিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি।

Mamata Banerjee Finance
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy