অপেক্ষাই সার হল। মুখ্যমন্ত্রী বগটুই গ্রামে এলেও বড়শাল পঞ্চায়েতের নিহত উপপ্রধান ভাদু শেখের পরিজনদের সঙ্গে তাঁর দেখা হল না। তা নিয়ে খানিকটা হলেও ক্ষুব্ধ ভাদুর স্ত্রী স্ত্রী কেবিনা বিবি। তিনি বলছেন, ‘‘তৃণমূল করতে গিয়েই আমার স্বামী খুন হয়েছে। দিদি গ্রামে এসে আমাদের সঙ্গে দেখা করবেন ভেবেছিলাম। কিন্তু কেন এলেন না জানি না।’’ একই সঙ্গে ভাদুর বাবা মারফত শেখের অভিযোগ, ‘‘১৭টি গ্রামের মাথা ছিল আমার ছেলে। বখরার ভাগ দিতে পারেনি বলেই সে খুন হয়ে গেল!’’
সোমবার রাতে খুন হল ভাদু শেখ। মঙ্গলবার তাঁর দেহ কবরস্থ করার কয়েক ঘণ্টা পরেই গ্রাম ছেড়ে ছিলেন ভাদুর পরিবার পরিজন। অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী আসার আগেই বৃহস্পতিবার সকালে কড়া পুলিশ পাহারায় তাঁদের বগটুই গ্রামে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। তবে, নিজেদের বাড়িতে নয়, তাঁদের আলাদা তাঁবুতে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। আনেকেই মনে করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী হয়তো গ্রাম পরিদর্শনের সময় ভাদুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলবেন। হাজির ছিলেন ভাদুর অনেক অনুগামীও। মুখ্যমন্ত্রী এসে পুড়ে মৃতদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বললেও ভাদুর পরিবারের সঙ্গে দেখা হয়নি। গ্রাম থেকে বেরিয়ে মমতা সোজা রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহতদের দেখতে যান।
ভাদুর পরিবারের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দেখা না-হওয়া নিয়ে বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য এ দিন বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ভাদু শেখের বাড়িতে যাননি। কারণ, তিনি আর কবর থেকে উঠে ভোট করতে পারবেন না! তাই তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখার করার প্রয়োজন নেই। এখন ওখানে অন্য কারও খোঁজ চলছে।’’