‘পাশে থাকার’ কথা বলে অতীতেও সর্বস্তরের আধিকারিকদের অভয়-বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবারও জেলা প্রশাসনগুলির উদ্দেশে কার্যত একই বার্তা মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন বলে প্রশাসনিক সূত্রের দাবি। এ দিন জেলাশাসকদের ভার্চুয়াল বৈঠকে ডেকেছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সংশ্লিষ্ট মহল জানাচ্ছে, সেই বৈঠকে কিছুক্ষণের জন্য যোগ দেন মমতাও। পরিকাঠামো সংক্রান্ত কাজকর্মে বাড়তি জোর দেওয়ার পাশাপাশি, এসআইআর সংক্রান্ত কাজে অফিসারদের পাশে থাকার কথাও বলেছেন তিনি।
গত শুক্রবার অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার সুব্রত গুপ্তকে রাজ্যের বিশেষ রোল-পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সঙ্গে এ রাজ্যেরই আরও ১২ জন আইএএস অফিসারকে জেলাভিত্তিক পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। একই সঙ্গে চলতি এসআইআরে খুঁজে পাওয়া নানা গরমিল নিয়ে সর্বস্তরের আধিকারিকদের সতর্ক করছে কমিশন। ইচ্ছাকৃত ত্রুটির ঘটনায় পরিণতি যে কঠোর হবে, দেওয়া হচ্ছে সেই সতর্কবার্তাও। সূত্রের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জেলাশাসকদের উদ্দেশে জানিয়েছেন, ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নেই। তিনি এবং রাজ্য সরকার পাশে রয়েছে। জেলাশাসকেরা নিজেদের কাজ করুন। ভয়ভীতি বা সতর্কবার্তায় যে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই, এ দিন তা-ও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিগড়ে দেওয়ার চেষ্টা হলেও, তা যে জেলা প্রশাসনগুলিকেই প্রতিহত করতে হবে, এ দিন সেই নির্দেশও মমতা দিয়েছেন বলে প্রশাসনিক সূত্রের দাবি। পাশাপাশি, বাড়ি তৈরি, জল-সড়ক প্রকল্পের কাজ যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হয়, তা-ও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে জেলাশাসকদের।
ঘটনাচক্রে, এ দিনই নিজের এক্স হ্যান্ডল-এ দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মন্তব্য করেছেন, ‘সাপের গর্তে কার্বলিক অ্যাসিড দিয়েছে কমিশন’। মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের কথোপকথনের প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দুর দাবি—মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসকদের বলেছেন, “…আমি সব জানি...আপনাদের চাকরি জীবনের অনেকটাই পড়ে রয়েছে। ভেবেচিন্তে বিবেক নিয়ে এসআইআরের কাজ করবেন।... মনে রাখবেন, আপনারা রাজ্যের কর্মচারী। ওরা চলে যাবে, আমরা থাকব।...থ্রেট দিলে ভয় পাবে না, বিডিও-দের বলবে।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)