নদিয়ায় তৃণমূলের সব স্তরের নেতাদের ডেকে পাঠালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী সপ্তাহে জেলা সফরে এসে অঞ্চল সভাপতি থেকে জেলা পর্যন্ত সব নেতাদের উপস্থিতিতে নির্বাচনমুখী সংগঠনের অবস্থা পর্যালোচনা করবেন। সরকারি সফরে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়ে দলের অন্দরেও একাধিক ব্যাখ্যা শুরু হয়েছে।
সরকারি প্রকল্পের বিলিবন্টন আর প্রশাসনিক কাজকর্ম পর্যালোচনা করতে আগামী ৯ জানুয়ারি নদিয়া যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবারই কৃষ্ণনগর ও রাণাঘাটে তাঁর এই কর্মসূচির কথা জানানো হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। তবে এই দফায় শুরু মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরে নদিয়ায় একটি ব্যতিক্রমী পর্বও যুক্ত হয়েছে। এই সফরেই দলনেত্রী হিসাবে কৃষ্ণনগরে তৃণমূলের নীচেরতলার পদাধিকারীদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন মমতা। সে কথা জানার পরই জেলা নেতৃত্ব কৃষ্ণনগর লোকসভা আসনের অন্তর্গত দলের সব বিধায়ককে তা জানিয়ে দিয়েছেন। দলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত শুক্রবার তাঁদের জানিয়েছেন, ৯ জানুয়ারি সার্কিট হাউসে দলের ব্লক, টাউন এবং অঞ্চল সভাপতিদের ওই বৈঠকে থাকতে হবে। কৃষ্ণনগরের সাংসদ তাপস পালের সঙ্গে দীর্ঘদিন দলের রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই। তাছাড়া সাংসদ হিসাবেও তিনি সক্রিয় নন। দলের একাংশের ধারণা, ভোটের আগে গোটা কেন্দ্রে দলকে তৈরি রাখতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী এই দফার জেলা সফর শুরু করেছেন গত নভেম্বরে। ইতিমধ্যে চারটি জেলায় এই দুই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন তিনি। তবে নদিয়ার মতো কোথাও দলীয় পদাধিকারীদের আলাদা করে ডাকেননি তিনি। নদিয়ায় তাঁর এই কর্মসূচি নিয়ে দলের অন্দরেও আলোচনা শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের ফল বিশ্লেষণের পরেও জেলার দলীয় নেতাদের নিয়ে আলাদা করে বৈঠক করেন মমতা। বিধানসভার সেই বৈঠকে তিনি সংগঠনে কার কী কাজও তা-ও আলাদা করে দেন। শাসকদলের এক নেতার কথায়, ‘‘নদিয়ায় দলের দুটি সমস্যা নিয়ে অনেকদিন ধরেই আলোচনা চলছে। সীমান্তবর্তী জেলায় বিজেপি এমন কিছু রাজনৈতিক কাজকর্ম করেছে, যা সামাল দেওয়া জরুরি। আর সংগঠনেও কিছু ফাঁকফোকর তৈরি হয়েছে। সম্ভবত সে কথা মাথায় রেখেই এই সফরে দলের কাজও সারতে চাইছেন নেত্রী।’’