ভারতের নাগরিক হলেও কাজের সূত্রে সিঙ্গাপুরে থাকেন তরুণ। আগে ভারতের বিভিন্ন প্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করেছেন তিনি। পরে বিদেশের সংস্থায় চাকরি করতে চলে গিয়েছিলেন। নতুন জায়গায়, নতুন সংস্থায় যোগ দেওয়ার পর কর্মসংস্কৃতির আকাশ-পাতাল পার্থক্য লক্ষ করেছেন তিনি। এর ফলে কর্মপদ্ধতি নিয়ে চিন্তাধারারও পরিবর্তন হয়েছে বলে দাবি করেছেন তরুণ। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন তরুণ (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
‘অমনডেলিলগ্স’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, এক তরুণ অফিসে কাজ করার অভিজ্ঞতা শোনাচ্ছেন। তিনি জানান, ভারতে প্রযুক্তি সংস্থার কর্মসংস্কৃতি সম্পর্কে অবগত তিনি। সেখানে হকের ছুটি চাওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতনের অনুমতির অপেক্ষা করতে হয়। কী কারণে ছুটি নেওয়া হচ্ছে, তা-ও বিস্তারে জানাতে হয়। লম্বা ছুটি নিয়ে মাঝেমধ্যে সংস্থার ঊর্ধ্বতনের রোষের মুখেও পড়তে হয় অধস্তনদের।
আরও পড়ুন:
চাকরির সুযোগ পেয়ে সিঙ্গাপুর চলে যান তরুণ। সেখানে চাকরি করার সময় পেশাদারিত্বের স্বাদ পেয়েছেন তিনি। এমনটাই দাবি ওই তরুণের। ভিডিয়োটি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘‘সিঙ্গাপুরে চাকরি করতে আসার পর আমার চিন্তাধারার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। হকের ছুটি নেওয়া যে ন্যায্য, তা বুঝতে পেরেছি। ভারতে ছুটি চাইতে গেলে ঊর্ধ্বতনদের কাছে ভিক্ষা চাইতে হয়। শরীর খারাপ, পরিবারের কোনও সমস্যার কারণ জানাতে হয়। সমস্ত জানিয়ে তার পর ছুটির অনুমতি নিতে হয়। কর্মক্ষেত্রের বিষাক্ত পরিবেশের মধ্যে অফিসে বেশি ক্ষণ থেকে আপনি যদি নিজেকে পরিশ্রমী বলে প্রমাণ করতে চান, তা হলে সে ধারণা ভুল। আসলে, আপনি নিজেরই ক্ষতি করছেন।’’
তরুণের দাবি, ‘‘এখন ছুটি নিতে গেলে আমায় কারও অনুমতি নিতে হয় না। শুধুমাত্র অফিসে তা জানাতে হয়। সন্ধ্যা ৬টার সময় অফিস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর পুরোটাই নিজের সময়। অফিসের কোনও মেসেজ অথবা ফোন আসে না। পেশাদারের মতো সময়কে কাজে লাগান। আপনি এখনও শিশু নন যে, ছুটির জন্য হাত পাততে হবে।’’