—ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ রাজ্যে মতুয়া সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা আগেই আদিবাসীদের একটি বড় সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও ডেকে নেন তিনি। মাজি সম্প্রদায়ের পেশাগত স্বীকৃতি ও সাঁওতালি ভাষার স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে ওই বৈঠকে কথা হয়েছে। এগুলি ভারত জাকাত মাজি পারগনা মহলের দীর্ঘ দিনের দাবি।
অন্য দিকে, আজ, শনিবার ঠাকুরনগরের মতুয়া সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি ঘিরেও পারদ চড়তে শুরু করেছে। বিজেপি যেমন ঠাকুরনগর অঞ্চলে প্রধানমন্ত্রীর কাট আউট এবং তোরণ দিয়ে রাস্তা সাজিয়েছে, তৃণমূলও তেমন মুখ্যমন্ত্রীর ফ্লেক্স কাট আউটে ভরিয়ে দিয়েছে এলাকা। এ দিন এলাকায় একটি মিছিলও করে তৃণমূল। প্রধানমন্ত্রীর সভা প্রসঙ্গে এ দিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওরা যত পারে আসুক। আমাদের ছেলেরাই চাঙ্গা হবে। ওরা যত সভা করবে, আমরা তার দ্বিগুণ সভা করব।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাবি, ‘‘মোদীর সভার সঙ্গে মিছিলের কোনও সম্পর্ক নেই। এটা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি।’’
তবে বিজেপির বক্তব্য, মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভার সময়েও একই কাজ করেছিল তৃণমূল। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে তৃণমূল যা করল, তা শুধু রাজনৈতিক সংস্কৃতির অবনমন নয়, মুখ্যমন্ত্রীর ভাবমূর্তিকেও ওরা কলুষিত করল।’’
আরও পড়ুন: গরহাজিরা রাজীবের, ব্যাখ্যা চাইল কমিশন
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, ‘‘মতুয়া মহাসঙ্ঘের আমন্ত্রণেই আসছেন প্রধানমন্ত্রী। এটা রাজনৈতিক সভা নয়। নাগরিকত্ব বিলের জন্য মতুয়া সম্প্রদায় তাঁকে সংবর্ধনা জানাবেন।’’ তবে রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, মতুয়া ভোট ব্যাঙ্কে ভাগ বসানোর জন্যই প্রধানমন্ত্রীকে এনে সভার ব্যবস্থা করেছে বিজেপি।
প্রশাসন সূত্রের খবর, দিল্লি থেকে দমদমে পৌঁছে সেখান থেকে হেলিকপ্টারে মোদী প্রথমে ঠাকুরনগর যাবেন। তার পর কপ্টারেই দুর্গাপুরে সভা করতে যাওয়ার কথা তাঁর। সেখানে পূর্ব রেলের একটি অনুষ্ঠানেও তাঁর যোগ দেওয়ার কথা। দুর্গাপুর দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা মোদীর।
আরও পড়ুন: দুই ব্রিগেডে ফারাক দেখাতে বার্তা বুদ্ধেরও
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy