আবহাওয়ার খেয়ালে পিছিয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর। বঙ্গোপসাগরে ঘনিয়ে ওঠার নিম্নচাপের জেরে দু’দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে রাজ্যে। তাই উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলার প্রশাসনের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক এক সপ্তাহ পিছিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী কাল অর্থাৎ সোমবার মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ যাচ্ছেন না। ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি প্রশাসনিক বৈঠকগুলি করবেন বলে নবান্নের তরফে রবিবার জানানো হয়েছে।
চার দিনের সফরে সোমবার অর্থাৎ ২১ সেপ্টেম্বর উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। করোনা সংক্রমণ এবং লকডাউনের কারণে প্রায় মাস ছয়েক জেলা সফর বন্ধ রেখেছিলেন মমতা। এ বারের শিলিগুড়ি সফর দিয়েই নতুন করে তাঁর জেলা সফর শুরু হওয়ার কথা ছিল। এই দফায় ডিসেম্বরের মধ্যেই রাজ্যের নানা প্রান্তে পৌঁছে বিভিন্ন জেলার প্রশাসনের সঙ্গে মমতা বৈঠক সেরে নিতে চাইছেন বলে নবান্ন সূত্রের খবর। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই মমতার শেষ দফার প্রশাসনিক জেলা সফর হতে চলেছে কি না, স্পষ্ট নয়। তবে যে সব সরকারি প্রকল্পের কাজ ঝুলে রয়েছে বা এখনও শেষ হয়নি, সে সব ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করা হোক, মুখ্যমন্ত্রী তেমনই চান। তা নিশ্চিত করাই এই দফার জেলা সফরের মূল লক্ষ্য বলেও জানা যাচ্ছে। কিন্তু নিম্নচাপের জেরে অন্তত এক সপ্তাহ পিছিয়ে যাচ্ছে সে সফরের সূচনা।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে নিন্মচাপের জেরে বৃষ্টি ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। আজ রবিবার এবং আগামী কাল সোমবার ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আর সোমবার বিকেলেই কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বাগডোগরা উড়ে যাওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সে পরিকল্পনা বাতিল করা হল। মমতার শিলিগুড়ি সফর এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হল।
আরও পড়ুন: শান্তিনিকেতনে পৌঁছল কোর্ট-গঠিত কমিটি
২১ সেপ্টেম্বর বাগডোগরায় নেমে সোজা উত্তরকন্যায় যাওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী। ২২ ও ২৩ তারিখ সেখানেই ৫টি জেলার প্রশাসনকে নিয়ে বৈঠকে বসার কথা ছিল। জেলা স্তরের আধিকারিকরা ছাড়াও মহকুমা এবং ব্লক স্তরের কর্তাদেরও প্রয়োজন অনুসারে বৈঠকে থাকতে হতে পারে বলে জানা গিয়েছিল। বিধায়কদেরও ডাকা হতে পারে বলে খবর ছিল। সে সব বিষয় অপরিবর্তিতই থাকছে। অর্থাৎ বৈঠক কোথায় হবে বা কাদের নিয়ে হবে, তাতে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। শুধু বৈঠকের তারিখ এক সপ্তাহ পিছিয়ে যাচ্ছে। ২২ সেপ্টেম্বরের বদলে ২৯ সেপ্টেম্বর বৈঠক হবে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলাকে নিয়ে। আর ২৩-এর বলে ৩০-এ বৈঠক হবে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং কোচবিহারকে নিয়ে।
২৯ ও ৩০-এ যে হেতু বৈঠক, সে হেতু আগের রাতেই মুখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়ি পৌঁছতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে নবান্নের তরফে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। কোন দু’দিন বৈঠক হবে, শুধু সেটুকুই আপাতত জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজ্যে জঙ্গিযোগ নিয়ে তরজায় শাসক-বিরোধী