মাঝে কিছু দিনের শীতলতা। এ বার তা কাটিয়ে সারদা-কাণ্ডে জেলবন্দি মদন মিত্রের পাশে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে প্রকাশ্যে নয়। রুদ্ধদ্বার দলীয় বৈঠকে।
ইদানীং প্রতি শনিবারই দলের বিভিন্ন জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে কালীঘাটে বৈঠক করছেন তৃণমূল নেত্রী। শনিবার ছিল নদিয়ার তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক। দলীয় সূত্রের খবর, এ দিন বৈঠকে দলনেত্রী ব্যাখ্যা করছিলেন বিজেপি ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ নিয়ে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে সিবিআইকে ‘হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করছে। তখনই তিনি কথা প্রসঙ্গে জানান, মদন টাকা চুরি করেছে বলে তিনি বিশ্বাস করেন না। কয়েক মাস আগে কালীঘাটেই দলীয় বৈঠকে মদন সম্পর্কে এমন অভিমত দিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু জামিন খারিজ হওয়ার পরে মদনের দ্বিতীয় দফার বন্দিদশা চলাকালীন হাওড়ার এক সভায় মমতা বলেছিলেন, ‘‘ব্যক্তিগত ভাবে কেউ দুর্নীতিতে জড়িত
থাকলে দল তার দায় নেবে না!’’ ফলে এ দিন মদনের পাশে দলনেত্রীর দাঁড়ানোর ইঙ্গিতে প্রত্যাশিত ভাবেই তৃণমূলের ভিতরে-বাইরে চর্চা শুরু হয়েছে।
এর ৪৮ ঘণ্টা আগে আদালতে হাজিরা দিয়ে বেরনোর সময়ে মদন বলেছিলেন, ‘‘নেত্রী যা করেন তা ভালর জন্যেই করেন।’’ এ বার প্রতিদানে মমতাও মদনের পাশে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেন বলে তৃণমূলের অনেক নেতার ধারণা। তবে কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানের মতো কেউ কেউ আবার মনে করেন, সারদা কাণ্ড নিয়ে ভবিষ্যতে মদন যাতে আর মুখ না খোলেন, সে কারণেই এমন ইঙ্গিত এ দিন দিয়েছেন মমতা। আবার কারও ধারণা, সারদায় সিবিআই তৃণমূলের আরও কয়েক জন নেতাকে ডেকে পাঠাতে পারে বলে দলের ভিতরে আশঙ্কা রয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই সিবিআইকে কিছুটা চাপে রাখতেই মদন সম্পর্কে মমতার এমন ইঙ্গিত। অবশ্য তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের কয়েক জনের বক্তব্য, সামনেই ভোট আসছে। সারদা কাণ্ড নিয়ে বিজেপিও আবার নতুন করে শাসক দলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানোর চেষ্টা করতে শুরু করেছে। মমতাও তাঁর পাল্টা আক্রমণের পথে যাবেন। এ দিন মদনের পাশে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত আসলে তারই লক্ষণ বলে ওই নেতাদের অভিমত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy