দু’দিন আগেই দলীয় বৈঠকে আদানি-বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। কেন্দ্র ও আদানিদের সম্পর্ককে বিঁধে মঙ্গলবার প্রকাশ্যেই সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওড়িশা রওনা হওয়ার আগে মঙ্গলবার কলকাতা বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘দেশ কয়েক জন চালাচ্ছে। ব্যাঙ্কগুলিতে টাকা থাকছে না। একশো দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না। অথচ কিছু মানুষ প্রচুর টাকা সংগ্রহ করছেন। এলআইসি, স্টেট ব্যাঙ্ক শূন্য হয়ে গিয়েছে। আদানি থেকে মেহুল, তাদের (কেন্দ্র) সেরা বন্ধু!’’
এ রাজ্যেও তাজপুর বন্দরের জন্য আদানি গোষ্ঠীকে সম্মতি পত্র দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আরও কিছু ক্ষেত্রে আদানিদের বিনিয়োগ রয়েছে। নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি তৃণমূল সরকারের সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর সম্পর্ক নিয়েও বিরোধী সিপিএম ও কংগ্রেস সরব। সেই প্রসঙ্গে এ দিন অবশ্য কিছু বলেননি মুখ্যমন্ত্রী। ওড়িশা গিয়ে আজ, বুধবার পুরী মন্দিরে পুজো দেওয়ার কথা তাঁর। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেডি নেতা নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে মমতার বৈঠকের কথা রয়েছে কাল, বৃহস্পতিবার। তবে মমতা সে প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আঞ্চলিক দলগুলি সব সময় শক্তিশালী। কেন্দ্র শুধু নীতি দিতে পারে। রাজ্যই তা কার্যকর করে। সেখানে যে কারও সঙ্গে বৈঠক করলে রাজ্যের উন্নয়ন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো নিয়ে কথা হয়। এই বৈঠক সৌজন্যের।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)