ফাইল চিত্র।
দিল্লি যাওয়ার আগে আবার দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকারকে হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুদ্ধজয়ন্তী উপলক্ষে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে বৃহস্পতিবার মমতা বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্র, বিহার, ওড়িশা ভয়ে চুপ করে থাকতে পারে। কিন্তু দিল্লি যতই কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করুক না কেন, আমরা পরোয়া করি না। বাংলা চুপ করে থাকবে না।’’
সারদা-রোজভ্যালি-নারদ কাণ্ডে তৃণমূলের একের পর এক নেতার নাম জড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের গ্রেফতারির চোখ-রাঙানিতে রীতিমতো চাপে তৃণমূল শিবির। তা সত্ত্বেও ধারাবাহিক ভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ অব্যাহত রাখার বার্তা দিয়ে রাজনৈতিক ভাবে কোনও রকম আপসের পথে যাবেন না বলে এ দিন বুঝিয়ে দিলেন মমতা। এর জন্য নারদ বা রোজভ্যালি-কাণ্ডে নাম জড়ানো দলের নেতাদের পাশাপাশি তাঁকেও জেলবন্দি হতে হলে তিনি বিচলিত নন বলে এ দিন জানিয়ে দিয়েছেন মমতা। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এদের (বিজেপির) বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে জেলে থাকতে হলে জেলেই থাকব।’’
বিজেপি বিরোধিতায় বিভিন্ন আঞ্চলিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছেন মমতা। গত মাসে ভুবনেশ্বরে গিয়ে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে দেখা করেও আঞ্চলিক জোট গড়ার ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন মমতা। তার উপর পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও বিরোধী শিবিরের সর্বসম্মত এক জন প্রার্থী ঠিক করার জন্য আলোচনা করতে আগামী সোমবারই দিল্লি যাচ্ছেন তিনি। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে মঙ্গলবার তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। বিজেপি-প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন আঞ্চলিক শক্তির ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি পদে সর্বসম্মত বিরোধী প্রার্থী তৈরির জন্য কংগ্রেসের উদ্যোগকে ইতিমধ্যেই সমর্থন জানিয়েছেন মমতা। তবে সেই বিরোধী ঐক্যে সব অ-বিজেপি রাজ্য সামিল হবে কি না, তা নিয়ে তাঁর সংশয়ের আঁচ পাওয়া গিয়েছে এ দিন। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, মহারাষ্ট্র, বিহার, ওড়িশা নিশ্চুপ থাকলেও তিনি একাই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই চালাবেন।
বিজেপিকে ‘দাঙ্গাবাজ’ বলে এ দিনও যথারীতি আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি দেশে ধর্মের নামে ‘অসহিষ্ণুতার বিষ’ ছড়াচ্ছে এবং তরোয়াল নিয়ে লোককে ভয় দেখাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন। বিজেপির এই ধর্ম-সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে একমাত্র বাংলাই সক্ষম বলেও আত্মবিশ্বাসী মমতা। সে জন্যই আবার বিজেপিকে ধর্মের নামে ‘কলঙ্ক’ বলে আখ্যা দিলেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর মন্তব্য, ‘‘ধর্ম মানে মানুষ মারার কসাইখানা নয়।’’ এ ধরনের আক্রমণ শুনে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ বলেন, ‘‘ওঁর (মমতার) একপেশে তোষামোদের রাজনীতি দেখে মানুষ এখন বিরক্ত। তাঁরা পাশ থেকে সরছে দেখে উনি ভয় পেয়ে এ সব বলছেন। আর ওঁকে জেলে ঢোকানোর কথা কেউ বলেনি। তবে চুরি করে থাকলে ওঁকেও জেলে যেতে হবে। আস্ফালন করে জেলযাত্রা খণ্ডানো যাবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy