Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Mamata Banerjee

Mamata Banerjee: বড় জয়ের পর বড় পরিকল্পনার প্রস্তুতি, মমতার সাংগঠনিক বৈঠক শুরু দুপুরে

বৈঠকে থাকতে পারেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও যুব সংগঠনের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২১ ১১:২২
Share: Save:

তৃণমূল ভবনে শনিবার দুপুরে সাংগঠনিক বৈঠক ডেকেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকে হাজির থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল দলের লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী ও পুরসভার চেয়ারম্যান তথা পুর প্রশাসকদের। বিধানসভা নির্বাচনে বিরাট জয়ের পর দলের প্রায় সব বড় নেতাকেও ওই বৈঠকে থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার নতুন নির্দেশে দূরবর্তী জেলাগুলির সাংসদ, বিধায়ক-সহ অন্য জনপ্রতিনিধিদের তৃণমূল ভবনে আসতে হবে না বলে জানানো হয়েছে। তাঁদের ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোভিড পরিস্থিতির কারণেই এই সিদ্ধান্ত।

তৃণমূল ভবনে আসতে বলা হয়েছে কলকাতা-সহ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলির সাংসদ, বিধায়ক ও পুর প্রশাসকদের। তবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার যে সমস্ত এলাকা ইয়াসে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেই সমস্ত এলাকার জনপ্রতিনিধিদের তৃণমূল ভবনে আসতে হবে না। দূরবর্তী জেলার সঙ্গে তাঁরাও বৈঠকে অংশ নেবেন ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমেই। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে বেশ কিছু সাংগঠনিক রদবদল হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও বৈঠকে থাকতে পারেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও যুব সংগঠনের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বড় জয়ের পর বড় এই বৈঠকে বড় কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

রাজ্যের প্রায় ১১০টি পুরসভার ভোট বাকি রয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত এক বছর ধরে ভোট করানো সম্ভব হয়নি। চলতি বছর সংক্রমনের গতি নিম্নগামী হলেই পুর নির্বাচনের পক্ষে তৃণমূল। কারণ, বিধানসভা ভোটের কারণে প্রায় তিন মাস পুরসভাগুলি কার্যত প্রশাসকহীন হয়ে পড়েছিল। ফলে প্রভাব পড়েছে পুর পরিষেবাতে। এবার পরিস্থিতি বুঝে সেইসব পুরসভায় যাতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মারফৎ পরিষেবা দেওয়া যায়, সে ব্যাপারেই সচেষ্ট হতে পারে শাসকদল। সেই কারণে নেত্রী প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারেন। সঙ্গে ভোটের ফলাফল ঘোষণার আগে যারা বিজেপি-তে গিয়েছিলেন তাদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে কিনা সে বিষয়েও আলোচনা হতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE