এসএসকেএম-এ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।
ডেঙ্গিতে আক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যুকে ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধল এসএসকেএম-এ। কর্তব্যরত জুনিয়র ডাক্তারদের মারধর করার অভিযোগও উঠল। তাঁদের বিরুদ্ধেও পাল্টা মারধরের অভিযোগ ওঠে। সোমবার রাতের ওই ঘটনার জেরে জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন। এরই মধ্যে মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জুনিয়র ডাক্তারদের ব্যবহার, রোগীদের চিকিত্সা এবং তাঁদের আত্মীয়দের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কড়া বার্তা দেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রবল জ্বর নিয়ে রবিবার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হন অশোক রায় নামে ভবানীপুরের এক বাসিন্দা। রক্ত পরীক্ষায় তাঁর ডেঙ্গি ধরা পড়ে। কিন্তু, সোমবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। এর পরেই চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে মৃতের আত্মীয়েরা ওয়ার্ডের ভিতর ঢুকে পড়েন। অভিযোগ কর্তব্যরত জুনিয়র ডাক্তারদের তাঁরা মারধর করেন। জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধেও পাল্টা মারের অভিযোগ ওঠে। এর পরেই নাকি তাঁরা ওই রোগীর তিন আত্মীয়কে আটকে রাখে হাসপাতালের মেন ব্লকের তিনতলায়। এমনকী, ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়নি। মৃতদেহ ছাড়াও হয়নি বলে অভিযোগ।
খবর পেয়ে পুলিশ আসে। বার বার চেষ্টা করেও তারা ব্যর্থ হয়। কারণ তত ক্ষণে মেন ব্লকের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়ে জুনিয়র ডাক্তাররা। শেষে পুলিশ অভিযুক্ত আত্মীয়দের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। আটকদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। রাতভর এই অশান্তির পর এ দিন সকালে ডিরেক্টর মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে স্মারকলিপি নিয়ে যান জুনিয়র ডাক্তাররা।
আরও খবর পড়ুন
বাচ্চাগুলোকে নামালাম, আর আমিই অপরাধী!
এরই মধ্যে বেলা সওয়া ১২টা নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। হাসাপাতালে রোগীদের ভাল চিকিত্সার পাশাপাশি তাঁদের আত্মীয়দের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করার পরামর্শ দেন ডিরেক্টর মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। জুনিয়র ডাক্তারদের ব্যবহার নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর মতে, জুনিয়র ডাক্তারদের সকলে খারাপ নন। হয়তো শতাংশ ডাক্তার তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এর পরেই মৃত রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে যাতে খারাপ ব্যবহার না করা হয় তা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy