আমার তখন ২২ বছর বয়স। যে দিন ইএমইউ লোকাল চালু হয়েছিল, সে দিন স্টেশন চত্বরে সাজো সাজো রব। প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু, রেলমন্ত্রী জগজীবন রামকে দেখতে গিয়েছিলাম। ৩-৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মেই ছিল ছাউনি। অনুষ্ঠান সেখানেই হয়েছিল। খুব ভিড় ছিল। সামনে যেতে পারিনি। ওভারব্রিজের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠান দেখেছিলাম। পতাকা নেড়ে ইএমইউ লোকাল চালু করেছিলেন নেহরু।
অনুষ্ঠান যে খুব জাঁকজমকপূর্ণ ছিল, তা কিন্তু নয়। তবে অনুষ্ঠানের জায়গায় কার্পেট পাতা ছিল। সেখানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ ছিল। প্রধানমন্ত্রী বলে কথা! জায়গাটা পুলিশ ঘিরে রেখেছিল। অনুষ্ঠানে এত ভিড় হয়েছিল যে, প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা ভাল করে শোনাই যায়নি।
কাঠের রেলগাড়ি থেকে ক্রমে বর্তমান সময়ের ট্রেনের পরিকাঠামোয় বিবর্তন দেখেছি আমরা। তখন শেওড়াফুলি স্টেশন এমন ছিল না। যেখানে এখন রিজার্ভেশন টিকিট কাউন্টার, সেখানে ছিল ঝোপে ঘেরা একটা পুকুর। স্টিম ইঞ্জিনের জন্য সেখান থেকে জল নেওয়া হতো। ৫-৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মের পাশে অর্থাৎ ছাতুগঞ্জের দিকে বড় জায়গা ছিল ইঞ্জিন ঘোরানোর জন্য।