তিনি যে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য গাঁধীমূর্তির পাদদেশে অনশন শুরু করতে চলেছেন, তা লিখিত ভাবে বৃহস্পতিবার দলের সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী এবং সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধীকে জানিয়ে দিলেন মানস ভুঁইয়া। তাঁর অনশন-মঞ্চে সামিল হওয়ার জন্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী-সহ রাজ্যের বিভিন্ন নেতা এবং শাখা সংগঠনকেও অনুরোধ করেছেন মানসবাবু।
সবংয়ে নিহত ছাত্র পরিষদ কর্মী কৃষ্ণপ্রসাদ জানা এবং বর্ধমানের কেতুগ্রামের ছাত্রী শাহিনা খাতুনের হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে অনশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সবংয়ের বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস বিধায়ক। বর্তমান তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যে যে ভাবে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে নৈরাজ্য বাড়ছে এবং মহিলারা নির্যাতিত হচ্ছেন, তার প্রতিবাদও তিনি জানাবেন অনশনের মাধ্যমে। দলের সব বিধায়ক যাতে তাঁর অনশন-মঞ্চে উপস্থিত হন, তার জন্য কংগ্রেস পরিষদীয় দলনেতা মহম্মদ সোহরাবকেও অনুরোধ করেছেন মানসবাবু। গাঁধীমূর্তির পাদদেশে অনশনের অনুমতি চেয়ে এ দিনই সেনা কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি লালবাজার এবং ময়দান থানাকে চিঠি দিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। দু’দিন আগেই বিদ্যুৎ মাসুল বৃদ্ধির প্রতিবাদে ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে অনশনরত একটি সংগঠনের নেতা প্রসেনজিৎ বসু ও অন্যদের গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মানসবাবুর একই কর্মসূচি নিয়ে পুলিশ কী অবস্থান নেয়, তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে কংগ্রেস শিবিরে।
ওই কর্মসূচির আগেই ১৪ তারিখ এআইসিসি-র তরফে পশ্চিমবঙ্গে দলের পর্যবেক্ষক সি পি জোশী দিল্লিতে বৈঠকে ডেকে পাঠিয়েছেন এ রাজ্যের বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতাদের। বিধানসভা ভোটের আগে সংগঠনকে চাঙ্গা করে আন্দোলনের আরও কর্মসূচি নেওয়ার ব্যাপারে ওই বৈঠকে কথা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy