এস জয়শঙ্কর। —ফাইল চিত্র।
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর নিজে উদ্যোগী হয়েছিলেন। তার পরে রিয়াধের ভারতীয় দূতাবাস থেকে দফায় দফায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। শেষ পর্যন্ত শনিবার দুপুরে হুগলির দশঘরায় নিজের বাড়িতে ফিরে এসেছেন সৌদি আরবের জেড্ডায় কাজে গিয়ে আটকে পড়া বাঙালি যুবক মানিক চট্টোপাধ্যায়।
রবিবার মানিক জানান, গত সপ্তাহেই দূতাবাস থেকে তাঁর হাতে বিমানের টিকিট দেওয়া হয়েছিল। যে রেস্তরাঁয় কাজের জন্য তিনি গিয়েছিলেন, সেটির কর্তৃপক্ষও আপত্তি না-করায় তিনি ফিরতে পরেছেন। বিদেশমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন মানিক। তবে জেড্ডা এবং সৌদির অন্য শহরে বহু ভারতীয় কাজে গিয়ে এ ভাবে আটকে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ভারতীয় দূতাবাস থেকে খুব একটা সহৃদয় ব্যবহারও তাঁরা পান-না বলে মানিকের অভিযোগ। বিদেশমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করার আগে তিনিও জেড্ডায় দূতাবাসের শাখা অফিসে গিয়ে কোনও সহযোগিতা পাননি বলে জানিয়েছেন।
মানিকের অভিযোগ, রেস্তরাঁয় ‘ওয়েটার’ হিসেবে কাজের জন্য নিয়ে গিয়ে সেখানে ‘কমন লেবার’ বা সাধারণ শ্রমিক হিসেবে নথিভুক্ত করা হয় তাঁকে। আপত্তি করলে বেতন বন্ধের হুমকি দেওয়া হয়। সৌদির নানা শহরে কাজে যাওয়া ভারতীয়দের চরম দুরবস্থায়
থাকতে হয় বলেও জানান তিনি। থাকা-খাওয়া, চিকিৎসার সাধারণ সুযোগটুকুও দেওয়া হয় না। যাঁরা ও দেশে কাজে যেতে চান, তাঁদের সব রকম খোঁজ নিয়ে তবে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ করেন মানিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy