E-Paper

এক একটি বিষয়ে পড়ুয়া ভর্তি হয়েছেন মাত্র দু’-তিন জন, ছাত্র পেতে পোর্টাল খুলল বহু কলেজ

শিক্ষা মহলের একাংশের বক্তব্য, কলেজে পড়ে চাকরি না পাওয়ার আশঙ্কায় এই অবস্থা। বিশেষ করে স্কুল শিক্ষকতার ক্ষেত্রে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসির ভূমিকায় হতাশ অনেকেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৩ ০৮:২৭
College Admission

—প্রতীকী ছবি। Sourced by the ABP

চলতি মাসের ৩১ তারিখ ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হতে চলেছে বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে। আগামী ১ অগস্ট থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু বেশ কিছু কলেজে এক একটি বিষয়ে পড়ুয়া ভর্তি হয়েছেন মাত্র দু’-তিন জন। বাধ্য হয়ে পড়ুয়া পেতে বেশ কিছু কলেজ আবার পোর্টাল খুলে ভর্তির আবেদন নিতে শুরু করেছে।

শিক্ষা মহলের একাংশের বক্তব্য, কলেজে পড়ে চাকরি না পাওয়ার আশঙ্কায় এই অবস্থা। বিশেষ করে স্কুল শিক্ষকতার ক্ষেত্রে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসির ভূমিকায় হতাশ অনেকেই। কলেজে পড়ে আগামী দিনে স্কুল শিক্ষকের চাকরি পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেই। তবে প্রথম সারিতে নেই, এমন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কয়েক বছর ধরেই ভর্তির এই আকাল চলছে।

চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে রাজ্যে স্নাতক স্তরে জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী চার বছরের অনার্স ডিগ্রি কোর্স চালু হয়েছে। চালু হয়েছে তিন বছরের ‘মাল্টিডিসিপ্লিনারি জেনারেল কোর্স’। আগেই দেখা গিয়েছিল, চার বছরের অনার্স কোর্সের তুলনায় তিন বছরের জেনারেল কোর্সে ভর্তির আবেদন বেশি জমা পড়েছে। সূত্রের খবর, অনার্সে সেই স্বল্প আবেদন থেকে ভর্তির সংখ্যা আরও কম।

নিখিল বঙ্গ অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি এবং আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজের অধ্যক্ষ পুর্ণচন্দ্র মাইতি বুধবার জানিয়েছেন, তাঁর কলেজে মোট ২২৬০ আসনের মধ্যে এ দিন পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন ৫০০-র কিছু বেশি পড়ুয়া। বিজ্ঞানের অনার্স বিষয়ে ভর্তির অবস্থা শোচনীয়। রসায়নে ভর্তি হয়েছেন মাত্র দু’জন।

চারুচন্দ্র কলেজের ১২০১টি আসনের মধ্যে পূরণ হয়েছে ২৮৩টি। অধ্যক্ষ অনুরাধা ঘোষ জানিয়েছেন, রসায়ন, পদার্থবিদ্যা, গণিত অনার্সে ভর্তি হয়েছেন যথাক্রমে দুই, তিন, এক জন পড়ুয়া। অর্থনীতিতেও ভর্তি হয়েছেন এক জন। রায়দিঘি কলেজের অধ্যক্ষ শশবিন্দু জানার কথায়, ২৯৪৮টি আসনে ভর্তি হয়েছেন দেড় হাজারের কিছু বেশি পড়ুয়া। রসায়ন, পদার্থবিদ্যা, গণিতে অনার্সে ভর্তি হয়েছেন যথাক্রমে পাঁচ, তিন, দশ জন। অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের সংরক্ষণ-সহ মোট ২২% আসন বেড়েছে। অথচ পড়ুয়া পাওয়া যাচ্ছে না। নতুন আবেদন নিতে ফের পোর্টাল খোলা হয়েছে।’’

হাওড়ার পাঁচলা কলেজের অধ্যক্ষ অর্পিতা মণ্ডল বলেন, ‘‘মোট ৬০০ আসনে ভর্তি হয়েছেন ২২৪ জন। কলা বিভাগের তিন বছরের জেনারেল কোর্সে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ২০০ জন। আবার ভর্তির পোর্টাল খোলা হবে।’’ বাঘাযতীন সম্মিলনী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ চন্দন জানা জানালেন, তাঁদের কলেজে ৭৫% আসন পূরণ হলেও অনার্স বিষয়গুলিতে আগের থেকে ভর্তির হার কম।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

College admission Education Department Bratya Basu

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy