তাঁর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত কলকাতা হাইকোর্টে যে-মামলা করেছেন, সেখানকার বেশ কয়েক জন কাউন্সিলর তাতে যুক্ত হতে চান। মঙ্গলবার বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে ওই কাউন্সিলরদের আইনজীবীরা দাবি করেন, অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন তাঁদের মক্কেলরাই। তাই তাঁদের বক্তব্য আদালতকে শুনতে হবে। বিচারপতি আইনজীবীদের নির্দেশ দেন, মামলায় যুক্ত হওয়ার জন্য লিখিত আবেদন করতে হবে। পরে তিনি তাঁদের বক্তব্য শুনবেন। ওই কাউন্সিলরেরা আজ, বুধবার লিখিত আবেদন জমা দেবেন।
ওই পুরসভার চেয়ারপার্সনকে মামলায় যুক্ত করতে আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। এ দিন চেয়ারপার্সনের আইনজীবী দেবব্রত সাহারায় আদালতে দাবি করেন, মেয়রকে অবৈধ নোটিস দেওয়া হয়নি। বিচারপতি নির্দেশ দেন, চেয়ারপার্সনের বক্তব্য এবং তিনি যে-সব নথি পেশ করতে চান, হলফনামা দিয়ে সেগুলো দাখিল করতে হবে।
তার আগে সব্যসাচীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, পুর কমিশনার ১৮ জুলাইয়ের বৈঠক নিয়ে যে-নোটিস দিয়েছেন, তার সঙ্গে পুরসভার ‘বিজনেস ওয়ার্ক’-এর কোনও সম্পর্ক নেই। কমিশনার শুধু ‘বিজনেস ওয়ার্ক’-এর বৈঠক ডাকতে পারেন। পুর আইনে তেমনটাই বলা আছে। বিকাশবাবু আরও জানান, কোনও পুরসভার কাউন্সিলরদের বৈঠক ডাকার এক্তিয়ার আছে শুধু সেখানকার চেয়ারম্যান বা চেয়ারপার্সনের। তাই কমিশনারের নোটিসের আইনি বৈধতা নেই।
আদালতে বিকাশবাবু জানান, ‘বোর্ড অব কাউন্সিলরস’ এবং পুরসভা দু’টি পৃথক সত্তা। কাউন্সিলর ছাড়াও পুরসভায় বিশেষজ্ঞ, মনোনীত সদস্যেরা থাকেন। পুরসভার ‘বিজনেস ওয়ার্ক’ সংক্রান্ত বৈঠকে তাঁদেরও ডাকা যেতে পারে। কিন্তু বিধাননগর পুরসভার কমিশনার ১৮ জুলাইয়ের বৈঠক ‘বিজনেস ওয়ার্ক’ করার জন্য ডাকেননি। উল্লেখ্য, ওই দিনই অনাস্থা নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে।