দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া জলে কাঁকসার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জল ঢুকতে শুরু করেছে নদী তীরবর্তী আবাসনগুলিতে। পশ্চিম বর্ধমান জেলার মতোই জল-যন্ত্রণায় জেরবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল এবং মেদিনীপুর মহকুমার বাসিন্দারা। ব্যারেজের ছাড়া জলে ঘাটালের নদীগুলিতে জলস্তর বাড়ছে। একই অবস্থা ওই মহকুমার চন্দ্রকোনাতেও। একাধিক জায়গায় নদীবাঁধ ভেঙে প্লাবিত গ্রামগুলিতে জলবন্দি বহু মানুষ। অন্য দিকে, দারকেশ্বর নদের বাঁধ ভেঙে হুগলিতে ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি অঞ্চলের প্রায় ২০টি গ্রামের বাসিন্দারা।
প্রশাসন সূত্রে খবর, গত দু’দিন ধরে টানা বৃষ্টির জেরে শনিবার সকাল থেকে দুর্গাপুরের দামোদর ব্যারেজ থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়। এর জেরে কাঁকসার বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এলাকাবাসীকে সরিয়ে স্থানীয় স্কুলগুলিতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দামোদরের জল বাড়ায় ওই নদ তীরবর্তী অঞ্চলের কৃষিজমি জলমগ্ন হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে এলাকা পরিদর্শনে যান দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শেখরকুমার চৌধুরী এবং কাঁকসার বিডিও সুদীপ্ত ভট্টাচার্য।