প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বক্তব্য, একমাত্র শিক্ষক বদলি হয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট স্কুলের সেই বিষয় পড়ানোর কোনও শিক্ষকই থাকবেন না।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে শুক্রবার শিক্ষকদের বদলির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে বদলি সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রশ্ন ও সমস্যা দেখা দিয়েছিল। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে তার বেশির ভাগেরই উত্তর মেলেনি।
শিক্ষকদের একাংশের দাবি, বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিধবা, প্রতিবন্ধীর মতো ‘প্রেফার ক্যাটেগরি’ ছাড়া স্কুলের সিঙ্গেল টিচার-এর (অর্থাৎ কোনও একটি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট স্কুলের একমাত্র শিক্ষক) বদলির আবেদন গ্রাহ্য করা হবে না। শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারীর বক্তব্য, “এই নিয়মের ফলে বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা বদলির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। অনেক স্কুলেই বহু শিক্ষক একটি বিষয়ের ‘সিঙ্গল টিচার’ হিসাবে পড়াচ্ছেন। তা হলে তাঁরা কোনও দিনই বদলির সুযোগ পাবেন না?”
রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বক্তব্য, একমাত্র শিক্ষক বদলি হয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট স্কুলের সেই বিষয় পড়ানোর কোনও শিক্ষকই থাকবেন না। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ওই স্কুলে সেই বিষয়ের শিক্ষক সংখ্যা বাড়লে বদলির সুযোগ মিলবে।
শিক্ষকদের একাংশ জানান, আগের নিয়মে বলা ছিল এক জন আবেদনকারী সর্বোচ্চ তিনটি স্কুলের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তিতে সে ব্যাপারে কিছু উল্লেখ করা নেই।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একটি স্কুলের মোট শিক্ষকের সংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি বদলির আবেদন করতে পারবেন না। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, কোন সময়সীমা ধরে দশ শতাংশের হিসাব হবে। কারণ, এক মাসের মধ্যে প্রথম দশ শতাংশ শিক্ষক যদি বদলির সুযোগ পেয়ে যান তাহলে পোর্টাল খোলা থাকায় ফের ওই স্কুলেরই দশ শতাংশ শিক্ষক যারা এ আগের বদলির আবেদনের সুযোগ পাননি তাঁরা বদলির আবেদন করার চেষ্টা করবেন। এ ভাবে দ্রুত শিক্ষক সংখ্যা কমতে থাকবে। কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন ‘‘নতুন বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকেরা নিজেদের পদে বদলির সুযোগ পেলেও সহকারী প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকাদের সহকারী শিক্ষক বা শিক্ষিকা পদে বদলির কথা বলা হয়েছে। এই বৈষম্যমূলক নিয়মের বদল দরকার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy