ইউনিয়নের অধিকাংশ কর্মী-অফিসারই বিমানবন্দর বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে ধর্মঘটের পক্ষে রায় দিয়েছেন। —ফাইল চিত্র।
কর্মী-অফিসারদের ৯০ শতাংশ যদি চান, তা হলেই বিমানবন্দর বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে ধর্মঘট হবে বলে ঠিক করেছে ইউনিয়ন। বুধবারের গোপন ব্যালটে ভোট নিয়ে দেখা গেল, অধিকাংশ কর্মী-অফিসারই ধর্মঘটের পক্ষে রায় দিয়েছেন।
ভোটে যোগ দেন বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষের এগ্জিকিউটিভ এবং নন-এগ্জিকিউটিভ কর্মী-অফিসারেরা। এয়ারপোর্ট অথরিটি এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (এএইইউ) জানতে চেয়েছিল, বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে ধর্মঘটে কর্মীদের সায় আছে কি না। বৃহস্পতিবার এএইইউ-এর পূর্ব ভারতের সম্পাদক প্রদীপ সিকদার জানান, সারা দেশে যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁদের ৯৮ শতাংশ কর্মী-অফিসারই বেসরকারিকরণ ঠেকানোর জন্য ধর্মঘটে যেতে চাইছেন। ভোটের ফলাফল এ দিনই দিল্লিতে কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রদীপবাবু বলেন, ‘‘এর পরেও কর্তৃপক্ষের টনক না-নড়লে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি ধর্মঘট হবে।’’ আর তাতে যে ভালই সাড়া মিলবে, ভোটের ফলই তা বলে দিচ্ছে বলে মনে করছে ইউনিয়ন।
আমদাবাদ, তিরুঅনন্তপুরম, লখনউ, জয়পুর, মেঙ্গালুরু ও গুয়াহাটি বিমানবন্দর বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছে ইউনিয়ন। সেই প্রতিবাদে এখনও তেমন লাভ হয়নি। তাই ইউনিয়ন এ বার ধর্মঘটে যেতে চায়। তবে তার আগে কর্মী-অফিসারদের মনোভাব বুঝতে ভোট করা হয়েছিল। সেখানে সারা দেশের অধিকাংশ কর্মী-অফিসার ভোট দেন ধর্মঘটের পক্ষে। কলকাতায় সব মিলিয়ে ১২৬৬ জন কর্মী-অফিসারের মধ্যে ১০৯৬ জন ভোট দেন। তাঁদের মধ্যে ১০৭০ জনের রায় গিয়েছে ধর্মঘটের পক্ষে। প্রতিদ্বন্দ্বী ইউনিয়নের নেতা দীপঙ্কর ঘোষও বলেন, ‘‘এটা বৃহত্তর স্বার্থ। বেসরকারিকরণ হলে আখেরে ক্ষতি কর্মীদের। আমিও ধর্মঘটের পক্ষে ভোট দিয়েছি।’’ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান গুরুপ্রসাদ মহাপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য করতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy