(বাঁ দিকে) শুভেন্দু অধিকারী এবং মেয়র ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র।
গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বেআইনি বহুতল ভেঙে ১১ জনের মৃত্যুর পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক্স হ্যান্ডলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর করা একটি পোস্ট ঘিরে ঘোর চর্চা চলছে কলকাতা পুরসভায়। কলকাতায় বহতলের অনুমোদনে মেয়রের আপ্তসহায়ক-সহ আরও দু’জনের বিরুদ্ধে মোটা টাকা কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু। পুর-আধিকারিকদের অনেকে স্বীকার করছেন, শুভেন্দু টুইটে যে তিন জনের নাম করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অতীতে একই রকম নালিশ এসেছে। পুরসভা মনোনীত এলবিএস-রা (লাইসেন্স বিল্ডিং সার্ভেয়ার) এ বিষয়ে ঘরোয়া ভাবে সরব হয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া দরকার। যদিও শুভেন্দুর দাবি প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ (ববি) হাকিম শুক্রবার বলেন, “এটা নোংরামি ছাড়া কিছু নয়।”
শুভেন্দু অভিযোগ করেছেন, ‘মিউনিসিপ্যাল বিল্ডিং কমিটি’র (এমবিসি) বৈঠকে কোনও বহুতল বাড়ি অনুমোদনের পরে তার বিস্তারিত বিবরণ পৌঁছয় মেয়রের ঘরে কালীচরণ বন্দোপাধ্যায়ের (মেয়রের আপ্ত সহায়ক) কাছে। বহুতল প্রকল্প ও তার স্থান অনুযায়ী কতটা পরিমাণ কমিশন/ কাটমানি নেওয়া হবে তা ঠিক করেন কালীচরণ। উত্তর কলকাতার এক প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলরের পুত্র সৌভিক গুহও বর্তমানে মেয়রের অফিসে কর্মরত। তাঁর নাম করেও শুভেন্দুর অভিযোগ, ‘এরপর সৌভিক সংশ্লিষ্ট স্থপতির সঙ্গে টাকা দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করতে বলেন।’
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তিকে কেএমডিএ, কেআইটি ও পুরসভার ঠিকাদার বলে দাবি করে এক্স হ্যান্ডলে শুভেন্দু লিখেছেন, “এরপর স্থপতি ডেভেলপারকে টাকা দেওয়ার জন্য বলে। সেই টাকা দিতে হবে কল্যাণকে। পুরসভা চত্বরে কল্যাণের পক্ষে কেউ টাকা গ্রহণ করেন। টাকা দেওয়ার পনেরো মিনিটের মধ্যে স্থপতির থেকে ফোন আসে, যেখানে ডেভেলপারকে নিশ্চিত করা হয় যে ফাইল প্রক্রিয়াকরণের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে এবং পরবর্তী চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে তা বরো অফিসে পাঠানো হবে।”
শুভেন্দু-উল্লিখিত কল্যাণ ফোনে বলেন, “আমি পুরসভাতেও যাই না। আমায় ফাঁসানো হচ্ছে।”মেয়রের আপ্তসহায়ক কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌভিক গুহ ফোন ধরেননি। জবাব মেলেনি মোবাইলে পাঠানো বার্তারও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy