Advertisement
E-Paper

অর্ধেক যাত্রী নিয়ে লোকাল চালানোর ভাবনা, টাইম টেবল প্রকাশ শীঘ্রই

কোন রুটে, কত ট্রেন এবং কোন সময়ে চালানো হবে তা ঠিক করতে আগামী ৫ নভেম্বর বিকেলে ফের বৈঠকে বসছে রাজ্য ও রেল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২০ ১৭:৫৯

সাধারণ যাত্রীদের জন্য লোকাল ট্রেন চালু করা নিয়ে সহমত হল রাজ্য সরকার ও রেল। রাজ্যে লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরুর পরিকল্পনা নিয়ে এদিন নবান্নে বৈঠকে বসেন রাজ্য এবং রেলের প্রতিনিধিরা। তবে কবে থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। কোন রুটে, কত ট্রেন এবং কোন সময়ে চালানো হবে তা ঠিক করতে আগামী ৫ নভেম্বর বিকেলে ফের বৈঠকে বসছে রাজ্য ও রেল। সেই দিন পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের পক্ষে প্রাথমিক পরিকল্পনা রাজ্যকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে যাত্রী স্বার্থ রক্ষার সঙ্গে সঙ্গে কী ভাবে জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে লোকাল ট্রেন চালানো যায় তা নিয়ে সতর্ক রাজ্য সরকার ও রেল।

রেলের ‘স্টাফ স্পেশ্যাল’ ট্রেনে উঠতে চেয়ে প্রতিদিনই বিভিন্ন স্টেশনে বিক্ষোভ চলেছে। এই পরিস্থিতিতে সকাল ও সন্ধ্যায় লোকাল ট্রেনের পরিষেবা শুরু করতে চেয়ে গত শনিবারই রাজ্যের তরফে রেলকে চিঠি দিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তার আগেই অবশ্য রেলও রাজ্যকে চিঠি দিয়েছিল। অবশেষে শুরু আলোচনা। মেট্রোর মতো ই-পাস ব্যবহার করে পরিষেবা শুরু করা যায় কি না তা নিয়েও এ দিন আলোচনা হয়েছে। তবে লোকাল ট্রেনের যাত্রীরা ই-পাসের সুবিধা কতটা নিতে পারবেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য। মেট্রো রেলের ক্ষেত্রে যেটা সম্ভব হয়েছে সেটা শহরতলির লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রে বাস্তবায়িত করা হলে অনেককে বঞ্চিত করা হবে বলেই মনে করছে নবান্ন। রাজ্য চায় সব রুট, সব শহর এবং সব যাত্রীরাই যাতে সুবিধা পান তা নিশ্চিত করুক রেল। কারা ট্রেনে উঠতে পারবেন, কারা পারবেন না তা নিয়েও কোনও ভেদাভেদ চাইছে না সরকার। সকলেই যাতে পরিষেবা পায় সেটা মাথায় রেখেই পরিকল্পনা বানানোর জন্য রেলের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য।

হাওড়া এবং শিয়ালদহ স্টেশনে আগে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করতেন। লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরু হলে, কী ভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, সে বিষয়ে রাজ্যের সঙ্গেই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, বলে এ দিন জানিয়েছেন এক রেল কর্তা। তিনি বলেন, “সব রকমের প্রস্তুতি রয়েছে। ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ট্রেন দিয়ে পরিষেবা শুরু হবে। ধীরে ধীরে ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হবে।” এদিন যা আলোচনা হয়েছে তাতে ঠিক হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে প্রতি ট্রেনে স্বাভাবিকের অর্ধেক যাত্রী নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে উদাহণ দিয়ে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যে ট্রেনে ১,২০০ মানুষ বসে যেতে পারেন সেখানে ৬০০ যাত্রীকে ওঠার অনুমতি দেওয়া হবে।’’

আরও পড়ুুন: ভারত মহাসাগরে এ বার টহল দেবে জার্মানির যুদ্ধজাহাজ

আরও পড়ুুন: অরুণাচল সীমান্ত পর্যন্ত রেল প্রকল্প ঘোষণা চিনের, নজর রাখছে দিল্লি

Indian Railway Coronavirus in India Coronavirus in West Bengal Local Train
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy