রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির ঘটনায় রাজ্যপালের দ্বারস্থ হচ্ছে ছাত্র পরিষদ। তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য সংগঠনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন রাজ্যপাল। এরপরেই ঠিক হয়েছে ১৮ই সেপ্টেম্বর পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দেবে। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে লাঠি, বন্দুক, বোমা হাতে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের পর দু’সপ্তাহ কেটে গেলেও দুষ্কৃতীরা এখনও অধরা। তাই রাজ্যপালের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলে জানিয়েছে ছাত্র পরিষদ। সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিত সাহা বলেন, ‘ঘটনার পড়ে এতগুলো দিন কেটে গেলেও দোষীদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হল না জেলা পুলিশ প্রশাসন। তাই বাধ্য হয়েই স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য আমরা রাজ্যপালের কাছে আবেদন জানাই । তিনি আমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন এবং আগামী ১৮ই সেপ্টেম্বর পাঁচ সদস্যের একটি দলকে ডেকে পাঠিয়েছেন। সেখানে ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও থাকবেন জেলার অন্য নেতারা।
গত ১০ই আগস্ট গুলি ও বোমার শব্দে কেঁপে ওঠে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। গণ্ডগোল ছড়িয়ে পড়ে রায়গঞ্জ শহরের জনবহুল এলাকাগুলিতেও। অভিযোগ, ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি নব্যেন্দু ঘোষ সহ বেশ কয়েকজন সমর্থককে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরেই বিনা প্ররোচনায় বেধড়ক মারধর করে তৃণমুল ছাত্র পরিষদ। নব্যেন্দুকে লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ। টিএমসিপি ও ছাত্র পরিষদ উভয়পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
এই ঘটনার রেশ কাটার আগেই গত ৩রা সেপ্টেম্বর ফের বন্দুক ও বোমা হাতে মুখে রুমাল বাধা দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব দেখা যায় রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রথম বর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে অ্যাডমিশন কমিটির আহ্বায়ক অশোক দাসকে অভিভাবকরা ঘেরাও করে রাখার সময় আচমকাই একদল দুষ্কৃতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রপরিষদের কর্মী সর্মথকদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। আবারও গুলি বোমা চলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। এবারও হামলা পাল্টা হামলার অভিযোগ এনে ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ দু’পক্ষই থানায় হাজির হয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে।
ছাত্র পরিষদের অভিযোগ দু’টি ক্ষেত্রেই টিএমসিপি ছাত্রদের আড়াল করেছে পুলিশ। বাধ্য হয়েই তাই রাজ্যপালের কাছে বিচার চাইতে যাচ্ছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy