পুরস্কার দিচ্ছেন পুলিশ সুপার। নিজস্ব চিত্র।
রেলশহরের দুর্গাপুজো ও মহরমের আখড়া কমিটিগুলিকে পুরস্কৃত করল জেলা পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে খড়্গপুরের টাউন থানায় এই পুরস্কার বিতরণে ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ, খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাদনা বরুণ চন্দ্রশেখর, এসডিপিও সন্তোষ মণ্ডল, আইসি দীপক সরকার। সব মিলিয়ে খড়্গপুর শহরের ১০৩টি পুজো কমিটি ও ২০টি মহরমের আখড়া কমিটিকে শান্তি বজায়ের জন্য স্মারক দেওয়া হয়।
দুই সম্প্রদায়ের উৎসব মরসুম নির্বিঘ্ন করতে সজাগ ছিল পুলিশ। দুর্গাপুজো ও মহরমের আখড়া কমিটিগুলিকে নিয়ে একাধিক বার বৈঠক করে পুলিশ। শেষমেশ কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই উৎসব মিটে যায়। এতে যে পুলিশ তৃপ্ত তা পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশ সুপারের কথাতেই স্পষ্ট হয়েছে। ভারতীদেবী বলেন, “প্রশাসনের ভাবনা ছিল পুজো, ঈদ, মহরম কী ভাবে একসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে পার করব। খড়্গপুরবাসীর সহযোগিতায় আমরা তা পেরেছি। সে জন্য ধন্যবাদ।” পরে পুলিশ সুপার আরও বলেন, “একটা সময় জটিলতা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু আমরা সকলকে নিয়ে বৈঠকে বোঝাতে পেরেছিলাম উৎসব নির্বিঘ্ন করতে কী সহযোগিতা দরকার।”
খড়্গপুর শহরের দুর্গাপুজোগুলিকে বড়, মাঝারি ও ছোট এই তিনটি বিভাগে ভাগ করা হয়। তিনটি বিভাগ থেকেই তিনটি ক্লাব-কমিটিকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এ ছাড়া তিনটি আখড়া কমিটিকে পুরস্কার দেওয়া হয়। পুলিশ-প্রশাসনের বিচারে শহরের সর্বোত্তম পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়েছে হিজলি সমবায় সমিতি পুজো কমিটি। মহিলা পরিচালিত পুজোর মধ্যে সেরার শিরোপা পেয়েছে বুলবুলচটি সর্বজনীন। খড়্গপুর গ্রামীণেরও তিনটি আখড়া কমিটিও পুরস্কৃত করা হয়। পুজো কমিটি ও আখড়া কমিটির সদস্যদের উদ্দেশে পুলিশ সুপার বলেন, “টিভি খুললেই দেখবেন বিভিন্ন জায়গায় কী ধরনের অশান্তি হচ্ছে। সেই তুলনায় আমাদের জেলায় যে এত শান্তি রয়েছে, এই যে সকলে একসঙ্গে বসে রয়েছেন, সে জন্য শুভেচ্ছা জানাই। প্রশাসন আপনাদের সঙ্গে আছে, থাকবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy