এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল বছর পনেরোর দুই নাবালকের বিরুদ্ধে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবতীর স্বামী পুলিশে অভিযোগ করেন। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে, রবিবার হোমে পাঠিয়েছে। আজ, সোমবার তাদের জেলার জুভেনাইল আদালতে তোলা হবে।
অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যায় আচমকা ওই তরুণীর বাড়ি ঢুকে পড়ে দুই কিশোর। তাঁকে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে তারা। বাড়ির অন্য একটি ঘরে ছিল যুবতীর নাবালিকা দুই কন্যা। মায়ের চিৎকার শুনে তারা প্রতিবেশীদের ডাকে। লোকজন জড়ো হতেই চম্পট দেয় অভিযুক্তেরা।
নির্যাতিতার স্বামী রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। তিনি বাড়ি ফিরে ঘটনার কথা জেনে স্ত্রীকে নিয়ে থানায় গিয়েঅভিযোগ করেন। পুলিশ জানায়, রাতভর তল্লাশি চালিয়ে দুই অভিযুক্তকে ধরা হয়। এ দিন সরকারি হাসপাতালে নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের মধ্যে এক জনকে বছর দুয়েক আগে অসামাজিক কাজকর্মের অভিযোগে স্কুল থেকে বার করে দেওয়া হয়। অপর কিশোর ভিন্ রাজ্যে কাজে গিয়েছিল। মাসখানেক আগে সে বাড়ি ফেরে। স্থানীয় সূত্রের দাবি, এলাকায় কয়েক জন নাবালক নানা রকম অসামাজিক কাজে যুক্ত। তবে বাড়িতে ঢুকে গণধর্ষণের ঘটনায় দু’জন নাম জড়ানোয়, রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এলাকায়।
তমলুকের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আবজল আবরার বলেন,“দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭০(১) ধারায় গণধর্ষণেরমামলা রুজু করা হয়েছে।” মনোরোগবিশেষজ্ঞ আলোক পাত্র বলেন, ‘‘এইপ্রবণতা মানসিক ব্যাধি। সন্তানদের সঙ্গে অভিভাবকেরা কম সময় কাটানোরফলে, মোবাইলে আসক্তি বাড়ছে কিশোরদের মধ্যে। অশ্লীল ভিডিয়ো এই প্রবণতার জন্ম দিচ্ছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)